সূস্থ্য জাতী গঠনের ক্রীড়াঙ্গনে সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন দরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক: সূস্থ্য জাতী গঠনে খেলাধূলার অনুশিলন আয়োজন সঠিক পরিকল্পনা মাফিক এগিয়ে নেয়া অত্যন্ত জরুরি। শরির গঠনে, নির্মল বিনোদনে, মাদকাশস্তি রোধে, জাতীয় ঐক্য সামাজিক পরিবেশ উন্নয়নে, বিপূল সংখ্যক ক্রিড়া সংগঠকের কর্মসংস্থানে ও ক্রিড়া পেশাদারিত্বে সারাদেশের ক্রিড়াঙ্গন অপরিসীম অবদান রাখতে পারে। আন্তর্জাতিক সূনাম অর্জনে ক্রিড়াঙ্গন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে ও সঠিক পরিকল্পনামত এগোলে তা উত্তর উত্তর বৃদ্ধি পাবে।

সাংগঠনিক ভাবে ক্রিড়ামন্ত্রনালয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, বাংলাদেশ অলম্পিক, ক্রিকেট বোর্ড, ফুটবল ফেডারেশন ও শুটিং ফেডারেশন সহ বিভিন্ন ফেডারেশন স্ব স্ব খেলার উন্নয়নে কাজ করছে। পাশপাশি জেলা, উপজেলা, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা বিভিন্ন সার্ভিসেস সংস্থা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষাবোর্ড, বিকেএসপি, বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ঢাকা সহ সারা দেশে অসংখ্য ক্লাব, সমন্নিত ও ব্যক্তিগত উদ্দ্যেগে ক্রিড়াউন্নয়নে অমূল্য অবদান রেখে চলেছে।

সারা দেশে তৃনশূল পর্যায়ে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা সমূহ ক্রিড়া মন্ত্রালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। অবকাঠামোগত অপ্রতুলনা ও আথিক মহা সংকটের মধ্যে ও স্থানীয় পর্যায়ে সংগঠকেরা তাদের মেধা মন, সামর্থের মধ্যে প্রায় প্রতিবছর অনিয়মিত ভাবে ক্রিকেট, ফুটবল, হকি কাবাডি, হ্যান্ডবল বাস্কেটবল, সাতার, দাবা, বক্সিং, জুডো, কারতে, উশু, আর্চারি, ব্যাডমিন্টিন, টেনিস, শরীর চর্চা ও এথলেটিক সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আয়োজন অনুশীলন ও জাতীয় প্রতিয়োগিতায় সাধ্য অনুযায়ী অংশ গ্রহণ করে তৃনমূলের প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করে যাচ্ছে।

এই পর্যায়ে এ সকল কার্যক্রম পরিচালনা প্রতিটি উপজেলা, জেলার ও বিভাগের খেলার মাঠ বৃদ্ধি উন্নয়ন আধুনিকি করন জিমনেশিয়াম স্থাপন, স্টেডিয়ামগুলি সংস্কার উন্নয়ন ও আর্থিক ভাবে সাবলম্বি করার সার্বিক সময় উপযোগি পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখনই প্রয়োজন।

২০০৯-২০১০ অর্থবছরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল প্রতিটি বিভাগীয় ক্রীঢ়া সংস্থা গুলিকে ১ (কোটি) টাকার এফাডিভার আকারে প্রদান করা হবে যার মুনাফার অর্থে ক্রিড়া সংস্থা গুলি কায্যক্রম পরিচালনায় সহায়ক হবে।

বর্তমানে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা বিভিন্ন ফেডারেশন অলম্পিক সহ সকল সংস্থাকে এককালিন এধরনের অনুদান বারদ্দের মাধ্যমে সময় উপয়োগি ও দির্ঘ মেয়াদী আর্থিক সংকট নিরশনে অমূল্য অবদান রাখতে পারে এবং প্রতিবছর এ সকল সংস্থা গুলি খেলাধুলার অয়োজন অনুশিলন ধারাবাহিক ভাবে অব্যাহত রাখতে পারবে।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা গুলোকে ১ (এক) কোটি, জেলা ক্রীড়া সংস্থা গুলোকে ৩ (তিন) কোটি, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা গুলোকে ৪ (চার) কোটি, ফেডারেশন গুলোকে ১০ (দশ) কোটি ও অলম্পিক কে ৫০ (পঞ্চাশ) কোটি টাকার এফাডিয়ার হিসাবে বরাদ্দ প্রদান করলে সংস্থা গুলি লভ্যাংশের টাকা হতে অন্যান্য পৃষ্ঠপোষক সংগ্রহের মাধ্যমে ধারাবাহিক কায্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে যা ক্রীড়াঙ্গানকে অত্যান্ত সচল ও সমৃদ্ধ করবে।

উপজেলা, জেলা, বিভাগ, ফেডারেশন ও অলম্পিক প্রতি বৎসর ধারাবাহিক ভাবে খেলাধুলার অনুশিলন, আয়োজন করতে পারলে জাতীয় আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের সফল বিচরনে অমূল্য অবদান রাখবে।

উপজেলা, জেলা ও বিভাগ গুলোতে প্রতিবছর ধারাবাহিক খেলাধূলা আয়োজন অনুশিলনে জেলা ও বিভাগীয় দলে প্রকৃত প্রতিভাধর ক্রীড়াবিদদের সমন্নয় ঘটবে এবং ফেডারেশন গুলি প্রতি বছর জাতীয় প্রতিযোগতিা আয়োজনের মাধ্যমে স্ব স্ব ইভেন্ট জাতীয় দল গঠনে সারা দেশের প্রতিভাধরদের মধ্যে হতে বেছে নিতে পারবে। আর অলম্পিক বাংলাদেশের গেমস আয়োজনের মাধ্যমে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক রেকডর্ ধারিদের খুজে নিতে পারবে।

বিভিন্ন সার্ভিসে ও সরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহের স্কল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিড়া অনুশিল ও আয়োজন ধারাবাহিক ভাবে অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও বাধ্যবাধকতা আরোপ প্রয়োজন।

বর্তমানে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ফুটবল আয়োজন অতন্ত্য পন্ত্রি অঞ্চল হতে জাতীয় পর্যায়ে পর্যান্ত অত্যান্ত সাড়া জাগিয়েছে এবং ফলপ্রসু হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রীড়া বিদদের সমকক্ষতা অর্জনে আর্ন্তজাতিক মানের ক্রীড়া অবকাঠামো নির্মানের বিকল্পপ নাই। এ ক্ষেত্রে অন্তত, প্রাথমিক পর্যায়ে বিভাগ ও ফেডারেশন গুলির আধুনিক জিমনেশিয়াম নির্মান করা প্রয়োজন।

খেলাধুলার উন্নয়ন প্রসার ও জাতীয় গঠনে সরকারের সুনিন্তিত এ ধরনের পদক্ষেপ অমূল্য অবদান রাখতে পারবে। সরকার ক্রীড়া উন্নয়নের যথাযথ পদক্ষেপ নিবেন এই প্রত্যাশা রাখছি বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি, জেলা ও বিভাগের প্রাক্তন সাধারন সম্পাদক ও বিসিবির প্রাক্তন এ পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেছেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি জি, এম হাসান সালাম বাবলু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.