সু চির বিরুদ্ধে কী রায় হবে

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেতা অং সান সু চির বিরুদ্ধে করা বিভিন্ন মামলার মধ্যে একটির রায় ঘোষণা করতে যাচ্ছেন জান্তা আদালত।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে আভাস দেওয়া হয়েছে, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানির মামলায় মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করা হতে পারে। এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তিন বছরের জেল হতে পারে সু চির।মিয়ানমারে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী।
গ্রেপ্তার করা হয় সু চিসহ তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) শীর্ষ নেতাদের।
সেনা হেফাজতে নেওয়ার চার মাস পর গত জুনে বিচার শুরু হয় সু চির। সেনাবিরোধী উসকানি, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন ভঙ্গসহ তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে কয়েক দশক পর্যন্ত কারাদ- হতে পারে সু চির। এর মধ্যে মঙ্গলবার উসকানির অভিযোগে করা মামলার রায় দেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সু চিকে রাজনীতি থেকে চিরতরে সরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে মামলাগুলো করা হয়েছে। তবে ৭৬ বছর বয়সী সু চিকে নিয়ে সেনা সরকারের পরিকল্পনা আসলে কী, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রায় ঘোষণায় কর্তৃপক্ষের দেরি করার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশ্লেষকরা।
মানবাধিকারবিষয়ক বিশ্লেষক ডেভিড মেথিসন বলেন, ‘আমি অনেকটাই নিশ্চিত সু চিকে কঠোর সাজা দেওয়া হবে। এখন প্রশ্ন হলো- তাকে কীভাবে কারাবন্দি রাখা হবে, তাকে কি অন্য সাধারণ নারী কয়েদিদের সঙ্গে কারাগারে থাকতে হবে, নাকি বিশেষ মানুষের জন্য নির্ধারিত রাষ্ট্রীয় ভবনে বন্দি রাখা হবে?’
রাজধানীর নেপিদোতে বিশেষ সেনা আদালতে সু চির বিচারকাজ চলছে। সেখানে সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি নেই। সু চির আইনজীবীরাও সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে পারেন না।
সু চির পাশাপাশি আটক থাকা এনএলডির অন্য সদস্যদেরও বিচার চলছে। এ মাসের শুরুতে সাবেক এক মন্ত্রীকে ৭৫ বছরের কারাদ- দেওয়া হয়। সু চির এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে দেওয়া হয়েছে ২০ বছরের জেল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.