সুবর্ণচরে ইস্ট ওয়েস্ট সীড নলেজ ট্রান্সফার এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

নোয়াখালী প্রতিনিধি: “সতেজ সবজিতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ” এই শ্লোগানে নোয়াখালী সুবর্ণচরে “ইস্ট ওয়েস্ট সীড নলেজ ট্রান্সফার” এর আয়োজনে “স্মার্ট ফার্মিং হেলদী ফুড প্রজেক্ট” এর অংশ হিসেবে কৃষক-কৃষণীদের নিয়ে একটি মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিকালে উপজেলার পূর্বচরবাটা ইউনিয়ের পূর্ব চরমজিদ গ্রামে রেণু মিয়ার বাজার সংলগ্ন মো. মোবারক হোসেনের স্ত্রী কৃষাণী আকলিমা খাতুনের ডেমো প্লটে এ করলার মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ইস্ট ওয়েস্ট সীড নলেজ ট্রান্সফার গ্রুপের টেকনিক্যাল ফিল্ড অফিসার আবদুল্লাহ আল- নোমান, নোয়াখালীর সেলস অফিসার মো. ইমদাদুল করিম, সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া প্রজেক্টের এক্সটেনশন অফিসার মো. আলতাফ হোসাইন, সুবর্ণ প্রেসক্লাবের প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল শিমুলসহ সামাজিক, রাজনৈতিক, জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও কৃষক-কৃষণী সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ইস্ট ওয়েস্ট সীড নলেজ ট্রান্সফার গ্রুপ সূত্রে জানা যায়, বীজ বপন ও চারা উৎপাদনের ৪৫-৫০ দিনের মধ্যে সবজি বাজারজাত করা যায়। খরচের তোলনায় লাভের অংশ বেশি হওয়ায় অনেকে এখন আগ্রহ প্রকাশ করছেন এ চাষে।
কৃষক মো. মোবারক হোসেন জানান, আমি গত ১৫-১৬ বছর যাবৎ এ ধরনের বিভিন্ন সবজি চাষাবাদ করি। মাঝে মধ্যে সামান্য লাভ হলেও বেশির ভাগ গুনতে হয় লোকসান। এক পর্যায়ে সবজি চাষাবাদ করা থেকে সম্পন্ন বিরতি নিতে চেয়েছি। কিন্তু হঠাৎ ইস্ট ওয়েস্ট সীড নলেজ ট্রান্সফার গ্রুপের কয়েকজন অফিসার এসে আমাকে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়।
তিনি আরো বলেন, তাদের পরামর্শক্রমে উক্ত প্রকল্পের আওতায় আধুনিক পদ্ধতিতে বাড়ির আঙ্গীনায় ৮ শতক জায়গায় মালচিং পদ্ধতিতে এ করলা চাষ করি। এতে ব্যয়ের তোলনায় আয়ের উৎস বাড়তি হওয়ায় অনেকে এ করলা চাষে ঝুকছে। আগামীতে আরো বড় পরিসরে চাষাবাদ করার স্বপ্ন দেখছি।
ইস্ট ওয়েস্ট সীড নলেজ ট্রান্সফার গ্রুপের টেকনিক্যাল ফিল্ড অফিসার আবদুল্লাহ আল- নোমান জানান, সর্জন পদ্ধতিতে চাষাবাদ করায় স্বল্প সময়ে লাভবান হলেন তিনি। তার দেখাদেখি এখন অনেকে ঝুকছে এ করলা চাষে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নোয়াখালী প্রতিনিধি ইব্রাহিম খলিল (শিমুল)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.