সুন্দরবনে বন্দুকযুদ্ধে কালু বাহিনী প্রধানসহ তিন বনদস্যু নিহত

 

খুলনা ব্যুরো: পুলিশের সাথে বনদস্যুদের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সুন্দরবনের কালু বাহিনীর প্রধান আবু সাইদ ওরফে কালুসহ তিন বনদস্যু নিহত হয়েছেন। নিহত অপর দুজন হলেন মো. আকবর আলী গাজী ও শহীদুল মল্লিক।

বুধবার বেলা ১১ টার দিকে জেলার কয়রা উপজেলার সুন্দরবনের অভ্যন্তরে কয়রা নদীর ময়দা ফ্যাসা এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের আট সদস্য আহত হন।

পুলিশ ঘটনাস্থল তল্লাশী করে একটি ডাবল ব্যারেল বন্দুক ও ৩ রাউন্ড কার্তুজ, ২টি দেশী তৈরী পিস্তল ও ১ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ৫ রাউন্ড গুলির খোসা, ১টি কুড়াল, ১টি চাপাতি ও ১০/১২ টি গরানের লাঠি এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি নৌকা উদ্ধার করে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

কয়রা থানার ওসি এনামুল হক জানান, তিন দিন আগে কয়রা উপজেলা সদর এলাকার বীনাপানি ও তেঁতুলতলা গ্রামের বাসিন্দা সুন্দরবনের জেলে হাবিবুর ফকির, রাজু, সাবিদুল গাজী ও মজিবুর গাজীকে মুক্তিপণের দাবিতে সুন্দরবন থেকে অপহরণ করে বনদস্যু কালু বাহিনী।

মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত জেলেদের নিয়ে কালু বাহিনী কয়রা নদীর ময়দা ফ্যাসা এলাকায় অবস্থান করছে এমন খবর পেয়ে কয়রা থানা পুলিশ বেলা ১১ টার দিকে সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বনদস্যুরা পুলিশকে লক্ষ করে গুলিছুড়তে শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। দুপুর ১২ টার দিকে বনদুস্যদের পক্ষ থেকে গুলিছোড়া বন্ধ হলে সেখানে তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। এসময় গুরুতর আহত তিন বনদস্যুকে পুলিশ উদ্ধার করে জায়গীরমহল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত কালু কয়রার অর্জুনপুর এলাকার শামসুর রহমান, আকবর গিলাবাড়ির জলিল গাজী ও শহীদুল রামপালের হোগলাডাঙ্গার জব্বার মল্লিকের ছেলে। নিহত ডাকাত আবু সাইদ কালু, আকবর ও শহিদুলের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। এদের মধ্যে ২০১৬ সালে শহিদুল বনদস্যু হিসেবে আত্মসমর্পন করেছিলেন।

পরবর্তীতে কালু বাহিনীতে যোগ দিয়ে পুনরায় ডাকাতিতে জড়িয়ে পড়েন।
ওসি জানান, বন্দুকযুদ্ধ চলাকালে কয়রা থানার এসআই রাজিউল আমিন, কিশোর কুমার, গোলাম আজম, এএসআই মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশ সদস্য শওকত হোসেন, হারিজ মোল্লা, সামাদ ও মোকলেছুর রহমান আহত হন। তাদের স্থানীয় স্বাস্থকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওসি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.