সুন্দরগঞ্জে উত্তম হত্যাকান্ডের ঘটনায় মাত্র ৯ দিনের মধ্যে আলামত উদ্ধার : স্ত্রীসহ আটক – ২

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: অবশেষে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চাঞ্চল্যকর উত্তম হত্যাকান্ডের আলামত হিসেবে পুকুর হতে ৪টি দেশিও অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় উত্তমের স্ত্রী ললিতা রানী (১৪) এবং তার প্রেমিক প্রতিবেশী সম্ভু চন্দ্র সরকারের ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র স্বদেশ চন্দ্র সরকার (১৪) কে আটক করেছে।
এ হত্যাকান্ডের পর হতে জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তোহিদুল ইসলামের নির্দেশে বিশেষভাবে তদন্ত কাজ পরিচালনার অংশ হিসাবে দ্রুত সময়ে হত্যার রহস্য ও হত্যাকারীদের গ্রেফতারে সক্ষম হলো পুলিশ।
হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন উত্তমের স্ত্রী ললিতা রানীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ বুধবার দিবাগত রাত ৪ টার সময় স্বদেশ চন্দ্রকে গ্রেফতার করে। হত্যাকান্ডের আলামত উদ্ধারের স্বার্থে পুলিশ আসামী গ্রেফতারের বিষয়টি গোপন করেছিলেন।
স্বদেশের স্বীকার উক্তি মোতাবেক পুলিশ আজ ৯ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সকাল হতে উত্তমের বাড়ির পিছনের পুকুর পানি শ্যালোমেশিন দিয়ে সেঁকে সন্ধ্যা ৬ টারদিকে পুকুর থেকে দেশিও অস্ত্র একটি কুড়াল, ২টি ছোট চাকু এবং ১টি বেকি উদ্ধার করে।
জানা গেছে, হত্যাকান্ডের দিন উত্তমের স্ত্রী ললিতা রানীর পরিকল্পনা মোতাবেক তার প্রেমিক স্বদেশ চন্দ্রকে সাথে নিয়ে হত্যাকান্ডটি সংঘটিত করে। থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামান জানান, পরকীয় প্রেম ঘটিত কারণে হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে উত্তমের স্ত্রী ললিতা রানীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর হত্যাকান্ডের রহস্য বের হয়ে আসে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৬টার সময় পৌর সভার ৬নং ওয়াডের তাঁতীপাড়া মহল্লার রাজমিস্ত্রী উত্তম কুমার দেবনাথকে (৩০) তার নিজ শয়ন ঘরে হত্যা করে পালিয়ে যায় হত্যাকারিরা। উত্তম ওই মহল্লার নিবারণ চন্দ্রের ছেলে। মাত্র বছর খানেক আগে প্রতিবেশি সুকুল চন্দ্রের কন্যা ললিতা রানীর সাথে উত্তমের বিয়ে হয়।
এ হত্যাকান্ডের তদন্তকালে সঠিক তথ্যের ভিক্তিতে পুলিশ আসামী আটকসহ আজ ৯ জানুযারী বৃহস্পতিবার মাত্র ঘটনার ৯ দিনের মধ্যে হত্যাকান্ডের আলামতসহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ ।
হত্যাকারীদের গ্রেফতারের বিষয়টি জানাজানি হলে হত্যাকারীদের দ্রত  বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন উপজেলার সচেতন মানুষ।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.