সুনামিতে টোঙ্গায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা, এখনও বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্কঅগ্নুৎপাত এবং সুনামির কবলে পড়া টোঙ্গার বিশাল এলাকার কোনও খোঁজ রবিবারেও পাওয়া যায়নি। টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় দূর দেশ নিউ জিল্যান্ডে বসবাসকারী অনেকেই প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রটিতে থাকা বহু প্রিয়জনের খোঁজ নিতে পারেননি। এখনও জানা যায়নি হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ।
গত শনিবার (১৫ জানুয়ারি) প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশের একটি আগ্নেয়গিরিতে অগ্নুৎপাত শুরু হয়। এর জেরে ১.২ মিটার উচ্চতার সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। টোঙ্গাসহ দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের বেশ কয়েকটি দ্বীপের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা গেছে বিশালাকার ঢেউ উপকূলীয় বাড়িঘর উপড়ে নিয়ে যাচ্ছে।
গত শনিবার (১৫ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকাল ছয়টা ৪০ মিনিটে ইন্টারনেট ও টেলিফোন লাইন বিকল হয়ে যায়। এতে টোঙ্গার এক লাখ পাঁচ হাজার বাসিন্দা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
গতকাল রবিবার (১৬ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন জানিয়েছেন, শক্তিশালী অগ্ন্যুৎপাতের পর সুনামির ঢেউয়ে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ টোঙ্গার রাজধানীতে নুকু’আলোফায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে দেশটিতে থাকা নিউ জিল্যান্ডের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নিউ জিল্যান্ড থেকে প্রায় দুই হাজার ৩৮৩ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গা। এর বাসিন্দা এক লাখ পাঁচ হাজার। জাসিন্ডা আরডার্ন বলেন, ‘অগ্নুৎপাতের ছাই ও ধোঁয়ায় নুকু’আলোফা ঢেকে গেছে কিন্তু অন্য পরিস্থিতি শান্ত ও স্থিতিশীল রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘টোঙ্গার অনেক এলাকার কোনও খোঁজ নেই… আমরা যোগাযোগই স্থাপন করতে পারিনি।’
গত শনিবার (১৫ জানুয়ারি) অগ্ন্যুৎপাতের যে দৃশ্য স্যাটেলাইটে ধরা পড়েছে তাতে দেখা গেছে গ্যাস,ধোঁয়া ও ছাই আকাশে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতা উঠেছে। আট মিনিটের এই অগ্ন্যুৎপাত এত বিশাল ছিল যে ৮০০ কিলোমিটার দূরের ফিজিতেও বিকট শব্দ শোনা গেছে। এমনকি ২ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দূরে নিউ জিল্যান্ডেও ঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়। (সূত্র: রয়টার্স)। # 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.