সুইডেন নয়, ফিনল্যান্ডকে সমর্থন দিতে পারে তুরস্ক

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সুইডেনে তুরস্কের দূতাবাসের বাইরে পবিত্র কোরআন পোড়ানো ও বিক্ষোভের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে আঙ্কারা। গতকাল রোববার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে ফের বিষয়টির অবতারণা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান।
এ সময় তিনি বলেন, সুইডেনকে বাদ দিয়ে ফিনল্যান্ডকে ন্যাটোতে মেনে নিতে পারে তার দেশ। আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
সুইডেন ও ফিনল্যান্ড শুরু থেকেই একসঙ্গে ন্যাটোতে যোগ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনার পর ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে দেশ দুটির সঙ্গে আলোচনা স্থগিতের ঘোষণা দেয় তুরস্ক। এর কয়েকদিনের মাথায় আজ ফিনল্যান্ডের বিষয়ে আঙ্কারার সবুজ সংকেতের কথা জানান এরদোয়ান।
তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে আমরা ফিনল্যান্ডের বিষয়ে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দিতে পারি। আমরা ফিনল্যান্ডের জন্য ভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানালে সুইডেন হতবাক হয়ে যাবে।’ স্টকহোমের কাছে আঙ্কারার প্রত্যাশা সম্পর্কে তিনি ‘সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের’ হস্তান্তরের দাবির পুনরাবৃত্তি করেছিলেন।
উল্লেখ্য, স্টকহোমে তুরস্কের দূতাবাসের সামনে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর কাজটি করেন ডেনমার্কের উগ্র ডানপন্থি রাজনৈতিক দল হার্ড লাইনের নেতা রাসমুস পালুদান। গত ২১ জানুয়ারি পুলিশি নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেই তুরস্কের দূতাবাসের সামনে একটি লাইটার দিয়ে পবিত্র কোরআনে অগ্নিসংযোগ করেন পালুদান।
তাৎক্ষণিকভাবে এক বিবৃতিতে এ ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানায় তুরস্ক। এতে বলা হয়, ‘আমরা আমাদের পবিত্র গ্রন্থের ওপর জঘন্য হামলার ঘটনায় সবচেয়ে কঠিন ভাষায় নিন্দা জানাই। মত প্রকাশের স্বাধীনতার আড়ালে এই ইসলামবিদ্বেষী কাজের অনুমতি দেওয়া সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।’ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.