সিঙ্গাপুরের মাধ্যমে বৃহৎ আসিয়ান অঞ্চলে প্রবেশের সুযোগ রয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি: বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সিঙ্গাপুরের মাধ্যমে বৃহৎ আসিয়ান অঞ্চলে প্রবেশের সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের ট্রান্সপোর্ট, ট্রেড রিলেশনস এবং শিল্পমন্ত্রী এস ইসওয়ারান।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে বৈঠক করেন এস ইসওয়ারান। বৈঠকে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ, সেবা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এমওসি স্বাক্ষরের পর তিনি এ কথা বলেন।
এস ইসওয়ারান বলেন বলেন, এমওসি সই হয়েছে, যাতে আমাদের দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীরে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা যায়। এক্ষেত্রে সম্ভাব্য কয়েকটি খাতে নজর দিতে হবে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশিদের ব্যবসার সুযোগ কেবল সিঙ্গাপুর আছে, এমন না বরং সিঙ্গাপুরের মাধ্যমে বৃহৎ আসিয়ান অঞ্চল প্রবেশের সুযোগও রয়েছে। কাজেই একসঙ্গে কাজ করতে আমরা কী করতে পারি বা করা উচিত, তা নিয়ে ভাবতে হবে। আর এই প্রক্রিয়া শুরু করতে আমাদের একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ আছে। ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডকে সামনে এগিয়ে নিতে তারা কাজ করছেন। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) মতো সমঝোতার ক্ষেত্রে আমাদের কী ধরনের ব্যবসা দরকার, এ নিয়ে বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমার বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
এসময় সিঙ্গাপুরে পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি জনশক্তি রপ্তানির বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, সিঙ্গাপুরে প্রতিনিয়তই আমাদের লোক যাচ্ছেন। তারা চাহিদা দিচ্ছে, আমরাও লোক দিচ্ছি। এছাড়া সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন খাতে আমাদের যেসব কর্মী কাজ করেন তারাতো থাকবেনই। পাশাপাশি নতুন লোকও যাচ্ছেন। তবে এ ব্যাপারে কোনো বাধা নেই। এটা যেভাবে চলছে, চলমান থাকবে।
এ বিষয়ে সিঙ্গাপুরের শিল্পমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, আমরা এখন যা করছি তার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সামনের পথ নিয়ে চিন্তা করা উচিত নয়। উদহারণস্বরূপ, ডিজিটাল অর্থনীতি বলতে মানুষের এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে যাওয়া বোঝায় না, বরং ডিজিটাল সংযোগের মাধ্যমে সেবা দেওয়াকে বোঝায়। যদি আমাদের শক্তিশালী ডিজিটাল সংযোগ থাকে, এজন্য প্রয়োজনীয় বিধিবিধান থাকে, তখন দূরে বসেই অনেক দক্ষতা ও সেবা আদান-প্রদান করা যাবে। কাজেই আমরা কী ধরনের সুযোগসুবিধা চাই, তার ওপর ভিত্তি করে কাজ শুরু করা দরকার।
আইটি সেক্টর, ট্যুরিজমসহ অনেক কিছুর কথা সিঙ্গাপুরের শিল্পমন্ত্রী বলেছেন উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, তিনি পরামর্শ দিয়েছেন যে আমাদের যা কিছু আছে সেগুলো আরও প্রচার করতে হবে। বিশেষ করে ট্যুরিজম খাত। আরও একটি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন যে আমাদের কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মানের বিমান বন্দর হচ্ছে, ট্যুরিজম হাব হতে যাচ্ছে- এগুলো বেশি প্রচারসহ ব্যবহার করতে হবে। দুই দেশ মিলে আমাদের একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ রয়েছে, তারা বসে এসব বিষয় আলোচনা ঠিক করবে। আজকে শুধু সই হলো।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হলো সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে, সেটাকে মনে রাখতেই এই আয়োজন। এই সম্পর্ক মাথায় রেখেই আমরা আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাবো।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ঢাকায় নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাই কমিশনারসহ সিঙ্গপুরের ট্রেড মিনিস্টারের নেতৃত্বে আগত প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এবং বাণিজ্য মন্ত্রণারয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ লোকমান হোসেন পলা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.