সিকিমে বাঁধ ভাঙায় তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা বন্যা আতঙ্কে

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: ভারতের সিকিমে পাহাড় ধসে ভেঙে গেছে তিস্তা নদীর ওপরে নির্মিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি বাঁধ। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের গজলডোবা বাঁধে পানির চাপ দ্রুত বাড়ছে।এতে উজানো ঢল যে কোন সময় বাংলাদেশে প্রবেশ করে মারাত্মক বন্য পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। ফলে তিস্তা পাড়ের মানুষ নতুন করে বন্যার শঙ্কা করছেন।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, তিস্তার পানি বাড়লেও আপাতত তেমন একটা বন্যার শঙ্কা নেই।
সূত্রে জানা গেছে, সিকিমে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের উত্তর মালদহের গজলডোবা, বামনগোলা ও পুরাতন মালদহে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গজলডোবা বাঁধের পানি তিস্তার ডালিয়া পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে সিকিমের লোনাক হিমবাহী হ্রদ ফেটে যায়। এরপর থেকেই তিস্তা বাঁধের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ ছিল। ওই বছর আকস্মিক বন্যায় চুংথাংয়ের তিস্তা বাঁধের কিছু অংশ ভেসে যায়। এটি সিকিমের সবচেয়ে বড় হাইড্রো পাওয়ার প্রজেক্ট।
বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায়  দেশের বৃহত্ত সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ৫১ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। কাউনিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ২৮ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ২৯ দশমিক ৩১ সেন্টি মিটার।
তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা জানায়, গতবছর ভারত হঠাৎ পানি ছেড়ে দেয়ায় আমাদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। এবার পানি আসলে আমাদের ধান সহ উঠতি ফসলের ক্ষতি হবে। আগাম বার্তা দিয়ে পানি ছাড়লে আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রক্ষা করতে পারবো।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বিটিসি নিউজকে বলেন, তিস্তার পানি বাড়লেও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি নাও হতে পারে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড সতর্ক রয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.