নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের সিংড়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দুপুর ২টায় গোল-ই আফরোজ সরকারি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে ডাহিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক নাইম হোসেন ও গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সহ-ক্রীড়া সম্পাদক শফিকুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করেছে ছাত্রলীগের অপর পক্ষ।
আহত দুই ছাত্রলীগ নেতা গোল-ই আফরোজ সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি সজিব ইসলাম জুয়েল এর অনুসারী। তাঁরা অনার্স ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। পরে তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রওনক হাসান হারুনের মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলেজ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। পরে পৌরসভার মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস, সিংড়া থানার ওসি নূর-এ-আলম সিদ্দিকী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সূত্রে জানা যায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে বুধবার দুপুরে পৌর ছাত্রলীগের স্কুল বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান রাফসান এর নেতৃত্বে ৭ থেকে ৮ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে কলেজ এর সামনে ছাত্রলীগ নেতা নাইম হোসেন ও শফিকুল ইসলামের উপর হামলা চালানো হয়। ছাত্রলীগ নেতা নাইম হোসেনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম এবং আরেক ছাত্রলীগ নেতা শফিকুল ইসলামকে পিটিয়ে আহত ফেলে রেখে যায় হামলাকারীরা।
জানা যায় ,হামলাকারীরা ছাত্রলীগ নেতা রওনক হাসান হারুনের অনুসারী। আহতদের মধ্যে নাইম হোসেনকে নাটোর সদর হাসপাতাল ও শফিকুল ইসলামকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সিংড়া গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি সজিব ইসলাম জুয়েল বিটিসি নিউজকে বলেন, ছাত্রলীগ নেতা হারুনের নেতৃত্বে কলেজের নিরীহ ছাত্রদের উপর হামলা করা হয়েছে। তিনি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রওনক হাসান হারুন বিটিসি নিউজকে বলেন, আমি এ হামলার সাথে জড়িত না, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমাকে দোষারোপ করা হচ্ছে। তাছাড়া ভিপি জুয়েল এর অনুসারীরা আমার মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে এবং আমার দোকানে হামলা করেছে। তবে মোটরসাইকেল ভাংচুরের বিষয়টি অস্বীকার করেছে সজিব ইসলাম জুয়েল।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-এ-আলম সিদ্দিকী বিটিসি নিউজকে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.