সিংড়ায় গুগল মিটে ঘরে বসেই ক্লাস করছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩’শ শিক্ষার্থী


নাটোর প্রতিনিধি: কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ থাকায় ক্ষতির মুখে পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কমলমতি শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়েছে সবচেয়ে বেশি।
এমন পরিস্থিতিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনায় চলতি বছরের মে মাস থেকে গুগল মিট ব্যবহার করে অনলাইন ভিত্তিক পাঠদানের কার্যত্রম শুরু করেছেন নাটোরের সিংড়া উপজেলা শিক্ষা অফিস।
স্মার্টফোন ব্যবহার করে ঘরে বসেই গুগল মিটে যুক্ত হয়ে ক্লাস করছে উপজেলার ২১০টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির প্রায় ৩’শ শিক্ষার্থী।
উপজেলা শিক্ষা অফিস জানায়, ২১০টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১১১৫ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন এবং তাদের গুগল মিট প্রশিক্ষণের আওতায় এনে ৮টি ক্লাষ্টারের শিক্ষকদের ৪৫ থেকে ৫০টি সাব-এ ভাগ করে গুগল মিটে প্রতিনিয়ত পাঠদান কার্যক্রম চলমান আছে।
উপজেলার আয়েশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী হুজাইফার অভিভাবক মোঃ হাফিজুর রহমান বিটিসি নিউজকে বলেন, স্কুল বন্ধ থাকায় আমার ছেলে পড়ালেখার মনযোগ হারিয়ে ফেলেছিল। গুগল মিটে নিয়মিত ক্লাস করায় এখন নিয়মিত পড়ালেখা করছেন। আমরা শিক্ষা অধিদপ্তরের এই কার্যক্রমকে স্বাগত জানাই।
পাকুড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও নাটোর জেলা এম্বাসেডর (এটুই) মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সিংড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসের তত্বাবধানে এটুআই কর্তৃক অনুমোদন পেয়ে নাটোর জেলায় প্রথম ২০২০ সালের জুন মাসে চলনবিল অনলাইন স্কুল ফেসবুক পেইজ থেকে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হয়। বর্তমান গুগল মিটের পাশাপাশি চলনবিল অনলাইন স্কুলও চলমান আছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আলী আশরাফ বিটিসি নিউজকে বলেন, গুগল মিটে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চলমান আছে। করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে যদি আরও দীর্ঘ সময় লাগে তাহলে পর্যায়ক্রমে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরও পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হবে। পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক শিক্ষার্থীদের হোম ওয়ার্ক (বাড়ির কাজ) বিতরণ কার্যক্রম ৫ম সপ্তাহ পর্যন্ত হয়েছে। চলমান লকডাউনের বিধি নিষেধের কারণে বিতরণ কার্যক্রম শিথিল আছে। বিধি নিষেধ উঠানো হলে পুনরায় এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.