সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে কাজ করছে সরকার : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছে সরকার। তবে এ জন্য আগামী ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ৭৫ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।’
আজ শনিবার ৩ দিনব্যাপী আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলন- ২০২৩ এ আয়োজিত সেমিনারে কি-নোট স্পিকারের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ফসিল ফুয়েল হতে ক্লীন এনার্জির সফল ট্রানজিশনে প্রয়োজন সমন্বিত ও সম্মিলিত উদ্যোগ। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহার রীতি এক এক দেশে একেক রকম। নবায়ণযোগ্য জ্বালানি বিশেষ করে সোলার পাওয়ার প্রকল্প বাস্তবায়নে কিছু সুনির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রচুর জমি লাগে। বাংলাদেশের মত ঘনবসতিপূর্ণ দেশে বড় আকারে সোলার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা দূরহ। প্রযুক্তির অবাধ বিচরণ ও গবেষণার দ্বারা এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করা যেতে পারে।’
তিনি জানান, বাংলাদেশ নবায়ণযোগ্য জ্বালানির উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ব্যবহার বৃদ্ধিতে সরকার নানাবিধ নীতি ও উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সমন্বিত মহাপরিকল্পনা, মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান, সোলার এনার্জি রোডম্যাপ, সোলার ইরিগেশন-এর রোডম্যাপ ও নাবায়ণযোগ্য জ্বালানি পলিসির আওতায় নাবাযণযোগ্য জ্বালানির প্রসারের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সোলার ইরিগেশন পাম্প, সোলার স্ট্রীট লাইট, সোলার ড্রিংকিং ওয়াটার সিষ্টেম, সোলার মিনি গ্রীড, বায়োমাস প্ল্যান, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, বায়ু বিদ্যুৎ ইত্যাদিতে ব্যাপক কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘৬ মিলিয়ন সোলার হোম সিষ্টেমের মাধ্যমে ২০ মিলিয়ন লোককে বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছে। যা ঐ এলাকার লোকদের জীবনযাত্রার মান ও কমিউনিটির ক্ষমতায়ণে বিশেষ অবদান রাখছে।’
তিনি বলেন, ‘পরিচ্ছন্ন ও সবুজ জ্বালানির প্রতি প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে দশটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। যার জন্য ১০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চলে গেছে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করতে ও অন্যান্যদের বিনিয়োগে উৎসহিত করছে সরকার।’
তিনি আরও জানান, ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়ণযোগ্য জ্বালানি হতে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১০৮টি প্রকল্পের মাধ্যমে নবায়ণযোগ্য জ্বালানি হতে প্রায় ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উক্ত সেমিনারে স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন সেন্টার ফর সাইন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং এর পরিচালক ড. মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান তালুকদার। সিপিডি এর রিসার্চ ডিরেক্টর খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। ডেলিগেশন অব দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশের গ্রীণ ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট টিম লিডার ইদয়ুইন কুককুক। গ্রামীণ ফোনের সিসিএও হেনস মার্টিন। সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ (সিইআর) এর ডিরেক্টর শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী। সেশনটি মডারেট করেন এ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.