সার্ভে ইনস্টিটিউটের ভবন বুঝিয়ে দিল এলজিইডি

ছবি : সৈয়দ নাবিল

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্মাণ কাজ শেষে রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সার্ভে ইনস্টিটিউটের নতুন ভবন জেলা পরিষদের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। সোমবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকারের কাছে নতুন ভবনের কাগজপত্র তুলে দেন এলজিইডির রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা।
জেলা পরিষদ কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এলজিইডির কাছ থেকে কাগজপত্র বুঝে নেওয়ার পর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার ও সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সার্ভে ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মাহাবুবুর রহমানের হাতে তুলে দেন।
জেলা পরিষদ পরিচালিত সার্ভে ইনস্টিটিউট ১৮৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। এতো দিন নগরীর প্রাণকেন্দ্র রাজারহাতা এলাকায় নিজস্ব ভবনেই চলতো এর কার্যক্রম। কিন্তু ভবনগুলো হয়ে উঠেছিল জরাজীর্ণ। তাই নগরীর উপকণ্ঠ পবা উপজেলার কচুয়াতৈল এলাকায় সার্ভে ইনস্টিটিটিউটের নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয় জেলা পরিষদ। ভবন নির্মাণের কাজ বাস্তবায়ন করে এলজিইডি।
প্রায় তিন একর জমির ওপর নির্মাণ করা হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস। সেখানে নির্মিত হয়েছে চারতলা অ্যাকাডেমিক কাম প্রশাসনিক ভবন, ১০০ শয্যার চারতলা একটি ছাত্রাবাস, ৫০ শয্যার তিনতলা একটি ছাত্রীনিবাস এবং অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপারের আলাদা আলাদা কোয়ার্টার। এছাড়া তৈরি হয়েছে অভ্যন্তরীণ রাস্তা, প্রধান ফটক এবং সীমানা প্রাচীর। এই ক্যাম্পাস তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ২৪ কোটি টাকা।

ছবি : সৈয়দ নাবিল

অনুষ্ঠানে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, নতুন ক্যাম্পাসটি অত্যন্ত আধুনিকভাবে নির্মিত হয়েছে। ক্যাম্পাসে আরও পাঁচ একর জায়গা সম্প্রসারণের প্রস্তাব সরকারের কাছে গেছে। সেটি এক সময় সার্ভে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে। আর পুরনো ক্যাম্পাসের জায়গায় তৈরি হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। আসছে সিটি নির্বাচনে তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে এ দুটি কাজ করতে চান।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার বলেন, সারাদেশে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সার্ভে ইনস্টিটিটিউটের সংখ্যা মাত্র দুটি। একটি কুমিল্লায় এবং অপরটি রাজশাহীতে। তাই এই ইনস্টিটিউটকে ঘিরে তার অনেক স্বপ্ন রয়েছে। প্রযুক্তিগতভাবেও তিনি এই সার্ভে ইনস্টিটিউটকে অনেক এগিয়ে নিতে চান। এই সার্ভে ইনস্টিটিউট দেশের ভূমি সংক্রান্ত জনশক্তির চাহিদা মেটাতে অবদান রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান ফিরোজকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ নাইমুল হুদা রানা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের সচিব খন্দকার মাহাবুবুর রহমান এবং রাজশাহী শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি।
অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-৩ নারগিস আক্তার, সদস্য আবদুস সালাম, গোলাম মোস্তফা, মোফাজ্জল হোসেন, শফিকুল ইসলাম, আবুল ফজল প্রামানিক, আবদুর রশিদ, আবু জাফর মাস্টার, আসাদুজ্জামান মাসুদ, আজিবর রহমান, নূর মোহাম্মদ তুফান, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের সদস্য কৃষ্ণা দেবী, শিউলী রানী সাহা, রাবেয়া খাতুন সিমা, জয়জয়ন্তী সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.