সারা বাংলাদেশে বিএনপি এখন সু-সংগঠিত : মিনু

বিএনপি প্রতিবেদকমহানগর যুবদলের সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি এবং আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে করণীয় বিষয় নিয়ে আজ শনিবার বিকেলে নগরীর কাদিরগঞ্জের একটি কমিউনিটি সেন্টারে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়কারী এবং রাজশাহী সদর আসন থেকে বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী জননেতা মিজানুর রহমান মিনু।

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক, মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও পবা-মোহনপুর আসনে বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন। সভা পরিচালনা করেন, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন।

অন্যদেন মধ্যে মহানগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, মতিহার থানা বিএনপি’র সভাপতি আনসার আলী, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা ওয়ালিউল হক রানা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হাসনাইন হিকোল, মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাইনুল হক হারু, সহ-সভাপতি আনোয়ার আক্তার কাজল, আকিল হোসেন আকুল, সাকলাইন ইকো, আবু হেনা মোহাম্মদ শাহীন রান্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বাবুল, মোদাসসারুল হক, ফাইজুল হক ফাহি, সালাউদ্দিন বিপ্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান টিটু, রাজিব উল ইসলাম ডিনপল, আলাউদ্দিন, হাফিজুর রহমান আপেলসহ যুবদল, অঙ্গ সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিনু বলেন, আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের রাতে কোনভাবেই ভোট প্রদান করতে যাবে না। তারা পুলিশ ও প্রশাসসে সদ্যদের কাজে লাগিয়ে সিটি নির্বাচনের মত ভোট জালিয়াতি করার জন্য নানামুখি ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপি’র পিট দেওয়ালে ঠেকে গেছে। কোনভাবেই ভোট কেন্দ্র দখল করতে দেওয়া হবে যাবেনা। বাঘা চারঘাটের চাদ ২গুন ভোটে জয়লাভ করবে। শাহরিয়ারকে আওয়ামী লীগকে সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবেনা। যুবদল হচ্ছে বিএনপি’র প্রাণশক্তি। যুবদল ঠিক থাকলে হৃদপিন্ড ঠিক থাকবে। ভোট সেন্টার পাহারা দেওয়ার জন্য যুবদলকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে। নির্বাচনের পূর্বের দিন সন্ধ্যে ৭টা থেকে বোট সেন্টার পাহারা দিতে হবে। সেইসাথে ভোটের দিন সকাল ৭টার পুর্বে ভোট কেন্দ্রে সকল পোলিং এজেন্ট এবং সেন্টার কমিটিকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লেিগর নিযুক্ত করা একটি বিশেষ এলাকার পুলিশ গু-ামী এবং অবৈধ কাজ করছে। সখল পুলিশ সদস্য ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা সরকারের পক্ষে নয়। তাদরে মধ্যে ৮০ ভাগ সদস্য ধানের শীষের দিকে তাকিয়ে আছে বলে জানান তিনি। এই নির্বাচন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার নির্বাচন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পরাজিত করে বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে হবে এবং হাসিনাকে কারাগারে পাঠাতে হবে বলে তিনি বক্তৃতায় উল্লেখ করেন। সারা দেশে বিএনপি’র জোয়ার বইছে। এই জোয়ার পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই জোয়ার যেন কোনভাবেই থেমে না যায় তার জন্য নেতাকর্র্মীদের সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি। ধানের শীষের জোয়ার দেখে শেখ হাসিনা ও তার সহযোগিরা দেশ থেকে পালানোর প্রস্তুতি গ্রহন করছে। এই সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ২৫২টি আসন নিয়ে সংসদ গঠন করবে। মিনু বলেন, রাজশাহীবাসী তাঁকে সন্তানের মত ভালবাসেন, ভাইয়ের মত শ্রদ্ধা করেন। তাদের এই সম্মান তিনি আজীবন ধরে রাখবেন।

রাজশাহীবাসীর সেবা এবং সকল উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য বিএনপি’র প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করার জন্য নেতাকর্মীকে ধানের শীষের সকল প্রার্থীর জন্য ভোট চাওয়ার আহবান জানান। সেইসাথে ভোটের দিন সবার পুর্বে ভোট প্রদান করে কেন্দ্র পাহারা এবং জনগণ ঠিকভাবে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারছে কিনা সেগুলোর নজরদারী করার পরামর্শ দেন তিনি। বিএনপি’র মধ্যে এখন কোন প্রকার দ্বিধাদন্দ নাই। যারা মনোনয়ন পায়নি তাদের সামান্য মন খারাপ হলেও এখন তারা কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে প্রতি সম্মান জানিয়ে একতাবদ্ধ হয়েছেন। যে দুই একজন আছেন তারা ও দ্রুত সময়ের মধ্যে দলীয় মনোণীত প্রার্থীর হয়ে কাজ করবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, নেতাকর্মীরা সক্রিয় থাকলে শেখ হাসিনা যতই ষড়যন্ত্র করুক নির্বাচনে কোনভাবেই এবার জয়লাভ করতে পারবেনা বলে জানান তিনি।

বুলবুল বলেন, ৩০ তারিখের নির্বাচনের উদ্যেশে এই প্রস্তুতি মূলক সভা। এখান থেকেই সকল বাধা অতিক্রম করে নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় ছিনিয়ে আনার শপথ নেওয়ার আহবান জানান তিনি। বিজিত হয়ে জানুয়ারীর ১৯ তারিখে দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়াকে সাথে করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিন পালন করা হবে বলে তিনি বক্তৃতায় উল্লেখ করেন। নির্বাচনে বিজয়ী হতে হলে ২৯ তারিখ সন্ধ্যা থেকে ভোট কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হলে এর কোন বিকল্প নাই। রাজশাহীবাসীর প্রিয় প্রার্থীকে মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য উদগ্রিব হয়ে আছে। সুযোগ পেলে জনগণ ধানের শীষের ভোট দেবেন।

মিলন বলেন, নির্বাচনে কিভাবে কাজ করা যায় এবং সহযোগিতা করা যায় তাই নিয়ে আজকের এই সভা। বেগম জিয়াকে মুক্ত, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে রাজশাহীতে প্রধান নেতৃত্বে রয়েছে মিজানুর রহমান মিনু। তিনি রাজশাহীর উন্নয়নের কা-ারী। তিনি পুনবার রাজশাহীর উন্নয়ন করার জন্য সংসদ নির্বাচন করছেন।

তিনি আরো বলেন, তৎকালীন সময়ে ভোট চুরি হতনা। কিছুটা জাল ভোট হত। কিন্তু এখন ভোট জালিয়াতি ও ডাকাতী হচ্ছে। ভোট যেন চুরি জালিয়াতি করতে না পারে তার জন্য সেন্টার পাহারা দেওয়ার ক্ষেত্রে সাহসি ও কঠোর নেতাদের পোলিং এজেন্ট করার পরামর্শ প্রদান করেন তিনি। ভোট গণনা না হওয়া পর্যন্ত ভোট কেন্দ্র না ছাড়ার নির্দেশ দেন মিলন। এই নির্বাচন খালেদাকে মুক্ত করার নির্বাচন। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছেনা। মানসম্পন্য খাবার দেওয়া হচ্ছেনা। খালেদাকে হত্যার রাজনীতি করছে এই সরকার। দর্নীতিবাজ ও রক্ত পিপাসুকে কারাগারে নববর্ষ উদ্যাপন করতে হবে বলে তিনি জানান। নেতাকর্মীদের আত্মীয়স্বজনদের ধানের শীষে ভোট প্রদানের জন্য অনুরোধ করার কথা বলেন মিলন।

উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন, কোনভাবেই ভোট কেন্দ্র দখল করতে দেওয়া যাবেনা এবং জাল ভোট ও ভোট ডাকাতী করতে দেওয়া হবেনা বলে জানান তারা। তারা বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে বিএনপিকে জয়লাভ করাতে হবে। সেজন্যই ভোট কেন্দ্র শক্ত হাতে পাহারা দিতে হবে বলে তারা উল্লেখ করেন।

সভাপতি বলেন, নির্বাচনে সাহসিকতার সাথে পোলিং এজন্টে হতে হবে এবং ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। যুবদল বিএনপি’র সাথে একসাথে পথ চলছে। এই পথচলা আজীবন থাকবে বলে তিনি জানান। নির্বাচনে ধানে শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে সকল যুবদলের নেতাকর্মীদের প্রচার করার জন্য পরামর্শ দেন তিনি। সেইসাথে বিএনপি’র নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে বলে জানান। নির্বাচনে সকল বাধা অতিক্রম করে মাঠে থাকার আহবান জানান সুইট। শেষে মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে সভা শেষ হয়।

#প্রেস বিজ্ঞপ্তি )#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.