সাম্প্রদায়িক হামলায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জড়িত : রিজভী

ঢাকা প্রতিনিধি: সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা এখন আস্তে আস্তে গর্তের মধ্য থেকে বিষাক্ত সাপের মতো বেরিয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, ‘সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়িত। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে যাদেরকে সংঘাত করতে দেখা গেছে তারা সকলেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এখন এগুলোকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য দৃষ্টি অন্যদিকে নেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার।’
আজ শুক্রবার (২২ অক্টোবর) নয়াপল্টনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দুঃস্থদের মধ্যে বস্ত্র ও খাবার বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, ‘আমরা একটা ক্রান্তিকাল সময় অতিক্রম করছি আমার আপনার কোনো নিরাপত্তা নেই। কখন কীভাবে কে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে এটা বলা কঠিন।’
এসব হামলার ঘটনায় জড়িত প্রসঙ্গে সরকারকে প্রশ্ন করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিচ্ছেন কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মীরা কি ওই স্পটে ছিলেন? বিএনপি নেতাকর্মীদের কি কেউ দেখেছে? তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছেন কেন? যুবদল ছাত্রদল নেতাদের গ্রেপ্তার করছেন কেন? আপনাদের সোনার ছেলেরা তারা এই সংঘাতের সাথে জড়িত এটা গণমাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে।’
রিজভী বলেন, ‘যুগ যুগ ধরে সমাজের শান্তি বিরাজমান। বিশেষ করে সাম্প্রদায়িক জনগোষ্ঠীর মধ্যে। এই শান্তি কারা নষ্ট করছেন? কারা বিঘ্ন ঘটাচ্ছেন? এটা তো হওয়ার কথা ছিল না। জিয়াউর রহমানের আমলে তো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা শুনিনি। বেগম খালেদা জিয়ার আমলে তো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা শুনিনি? শেখ হাসিনার আমলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা শুনতে হয়। তাহলে নিশ্চয়ই এখানে কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। তারা এই সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টি করে তারা বলছেন আমরা দমন করছি। তাহলে তারা কি কাউকে খুশি করার জন্য এ কাজটি করছেন?’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আজকে জনগণ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সুস্পষ্ট বাংলাদেশের যত সাম্প্রদায়িক হানাহানি হয়েছে তার সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকার জড়িত। এটা অত্যন্ত পরিকল্পিত, এটা কৃত্রিম। তারা তাদের ষড়যন্ত্রের নীলনকশার মাধ্যমে এ কাজটি করছেন। কারণ তাদের ব্যর্থতা এতই বেশি সেই ব্যর্থতা তাদের আড়াল করতে হয়। সেই ব্যর্থতা আড়াল করার জন্যই তারা এই কাজগুলো করছেন।’
আজকে অসময়ে বন্যা হচ্ছে জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘এই সময়ে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে। আজকে তিস্তা নদীর পানি তার ভারতের উজানে গজল ডোবা। সেইখানে বাঁধের সমস্ত কিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে। ফারাক্কা ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। কই আপনি তো (শেখ হাসিনা) এই ব্যাপারে কোনো প্রতিবাদ করেননি।’
এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, যুবদল নেতা খন্দকার এনামুল হক এনাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের নাসির উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাকা প্রতিনিধি মোমাসুদ রানা খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.