সাম্প্রদায়িকতার জেরে হিন্দু দর্জিকে হত্যা, রাজস্থানে রেড এলার্ট

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্কসাম্প্রদায়িকতার জেরে হিন্দু দর্জিকে হত্যার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ভারতের রাজস্থান রাজ্যে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজ্যজুড়ে রেড এলার্ট জারি করেছে রাজ্য সরকার।
সম্প্রতি ইসলাম ধর্মের মহানবী (সা:) সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে বহিষ্কৃত হয়েছেন বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মা। এদিকে তার সমর্থনে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন রাজস্থানের দর্জি কানহাইয়া লাল তেলি। এ কারণে তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিলো কদিন ধরেই।
শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার দুপুরে রাজ্যের উদয়পুরে কানহাইয়া লাল তেলির দোকানে জামা সেলাই করাতে কয়েকজন আসেন। তারাই তলোয়ার দিয়ে তার মাথায় কোপ দিয়ে হত্যা করে। এরপরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়।
ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়া হয়। এতে উদয়পুর শহরের বেশ কিছু এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়, কয়েকটি জায়গায় অগ্নি-সংযোগের ঘটনাও ঘটে।
এরপরেই উদয়পুর শহরের সাতটি মহল্লায় কারফিউ জারি করা হয়। শহরে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়।
এছাড়া, আজমেরে কারফিউ এবং রাজ্যের রাজধানী জয়পুরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পুরো রাজস্থান জুড়ে রেড-অ্যালার্ট জারি করেছে রাজ্য সরকার।
উদয়পুরের পুলিশ সুপার মনোজ কুমারের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান যে ‘নূপুর শর্মার সমর্থনে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দেওয়ার কারণেই এই হত্যা কী না’।
জবাবে মি. কুমার বলেন “সবকিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত শান্তি বজায় রাখাই আমাদের প্রাথমিক কাজ। কয়েকজন অভিযুক্তকে শনাক্ত করা গেছে।”
জানা গেছে, রাজসামন্ধ জেলা থেকে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
হত্যার যে ভিডিওটি প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে নিহত মি. তেলি পোশাক বানানোর জন্য এক ব্যক্তির গায়ের মাপ নিচ্ছেন। তারপরেই তার গলায় কোপ মারা হচ্ছে। মি. তেলি হতবাক হয়ে বলছেন , “কী হল, স্যার কী হল!”
তবে কোপ মারার কয়েক সেকেন্ড পরে ভিডিওতে ছবি আর দেখা যায় নি, শুধুই আর্ত চিৎকার শোনা যাচ্ছে।
ভিডিওটি এতটাই ভয়াবহ যে পুলিশের পক্ষ থেকে সেটি না দেখার জন্য আবেদন জানানো হচ্ছে। ফুটজেটি প্রচার না করার জন্য মিডিয়াগুলোকেও অনুরোধ করা হয়েছে। (সূত্র: বিবিসি বাংলা)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.