সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. একে এম নূর-উন-নবী’র শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীদের সাথে মত বিনিময় 

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলার সায়েন্স বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. একে এম নূর-উন-নবী শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীদের সাথে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে এক আলোচনায় অংশ নেন।
মঙ্গলবার (২৩ আগষ্ট) সকাল ১১ টায় কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে কলেজ মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন , ” আমার মামার বাড়ি এ কলেজ থেকে ৩ কিঃ মিঃ দুরে গোগর গ্রামে । আমার গর্ভধারিণী মায়ের বাড়ি রাণীশংকৈলের ঐ গোগর গ্রামে। সেই ছোট্ট কালে মামার বাড়িতে জীবনের স্মৃতি গুলো এখনো উপলব্ধি করতে পারি বলেই এই এলাকার প্রকৃতির সাথে আমার একটি দৃঢ় সম্পর্ক রয়ে গেছে।
তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, “পড়ালেখার স্থানটি যেখানেই হোক, তোমাদের পড়ালেখার গতি ঠিক রেখে এবং পড়ালেখা এমনভাবে করতে হবে যাতে ভালো ভাবেই প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায় এবং সবচেয়ে ভালো জায়গাটিতে স্থান করে নেওয়া যায়। তোমরা হয়তো অনেকে জেনে গেছো যে, গ্রামের স্কুল থেকে পড়ুয়া এই ‘আমি’ ছেলেটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়ে সেখানে শিক্ষকতা করার সুযোগ পেয়েছি। পরে রংপুরে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছি। তোমরাও চেষ্টা করলে একদিন পারবে।”
তিনি আরো বলেন – “দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। পরবর্তীতে আমার মামার পরিবারে অনেকেরই মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকায় নাম আছে। আমারও তালিকায় নাম দেওয়ার জন্য আমার কাছে কাগজপত্র চাইলে তখন আমি বলেছিলাম, দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি। এটাই সবচেয়ে বড় সত্যি কথা। কাগজে-কলমে তালিকায় নাম থাকাটা আমার কাছে বড় কথা নয়। এজন্য হয়তো আমার মৃত্যুর পরে  লাশের উপর জাতীয় পতাকা দেওয়া হবে না। কিন্তু আমি আমার বউকে বলেছি  – তুমি তো জানো আমি একজন মুক্তিযোদ্ধ। আমি মারা গেলে তুমি আমার লাশের উপর জাতীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দিও। “
তিনি নারী উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে বলেন -অর্ধেক জনগোষ্ঠী, নারী সমাজের অগ্রগতি ও সাফল্যের মধ্যে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন লুকিয়ে রয়েছে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। যা  আজ দেশের মানুষের কাছে অজানা নয়। “
এদিকে রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজ অনার্স কলেজে উন্নীত হওয়ার পরেও, এমনকি অবকাঠামোগত বিবেচনায় ভালো থাকার পরও জাতীয়করণ না হওয়ার বিষয়টি শুনে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন – সাবেক উপাচার্যের অর্ধাঙ্গিনী গুলনাহার নবী, সাবেক এমপি অধ্যাপক  ইয়াসিন আলী, সাবেক সংরক্ষিত আসনের এমপি সেলিনা জাহান লিটা, রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সইদুল হক, উপাধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জামাল উদ্দিন, কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য, শিক্ষক মন্ডলী ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি সফিকুল ইসলাম শিল্পী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.