সাতক্ষীরা প্রকিনিধি: বিভিন্ন এলাকায় দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার মেরে প্রশাসন ও বিচার বিভাগের কাছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১০ নং আগরদাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির নেতা আনারুল ইসলামকে হত্যা কারীদের অবিলম্বে দ্রুত গ্রেফতারের দাবিসহ দৃষ্টান্তমুলুক বিচার চেয়েছেন নিহত পরিবার।
জানা গেছে, বিগত ২০১৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা সরকারের পুলিশ বাহিনী কর্মকর্তা সাতক্ষীরার তৎকালীন পুলিশ সুপার চৌধুরী মনজুরুল কবীর ও সহকারী পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান মনি, ওসি এনামুল হক, এসআই হেকমত আলীসহ আওয়ামী লীগের ও ছাত্রলীগের ক্যাডার বাহিনী নেতাকর্মীরা ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান আনারুল ইসলামকে তার বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন চালিয়ে তাকে হত্যা করে।
এ ঘটনায় ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান আনারুল ইসলামকে হত্যার অভিযোগে নিহতের আনারুল ইসলামের ছোট ভাই জিয়ারুল ইসলাম বাদী হয়ে চলতি বছরের ২১ আগস্ট সাতক্ষীরা আমলী-১ নং আদালতে সাতক্ষীরার তৎকালীন পুলিশ সুপার চৌধুরী মনজুরুল কবীর ও সহকারী পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান মনি, ওসি এনামুল হক, এসআই হেকমতসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৪/৫ জন অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলায় আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলুক বিচার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহত আনারুল ইসলামের পরিবার ও বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বিগত ২০১৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর তৎকালিন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুর কবির এবং পুলিশের অন্যান্যা সদস্যসহ উল্লেখিত ব্যক্তিদের সহযোগিতায় একটি সাদা গাড়ীতে করে আগরদাড়ী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আনারুল ইসলামকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। প্রথমে তাকে সদর থানায় নিয়ে নির্মম নির্যাতন করে।
পরে চোখ বেঁধে সদর উপজেলার শিকড়ী ফাকা মাঠে নিয়ে গুলি করে তাকে হত্যা করে। সে সময় নিহতের স্বজনরা মামলার করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে উল্টো বিভিন্ন নানা ধরনের হুমকি ধামকি প্রদর্শণ করে। যে কারনে সে সময় মামলা করতে পারেনি পরিবার। তবে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসায় ভাই আনারুল ইসলামকে হত্যার বিচার চেয়ে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনারুল ইসলামের ছোট ভাই মামলার বাদী জিয়ারুল ইসলাম। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.