সান্তাহারের বাকপ্রতিবন্ধী বৃদ্ধা ৪৪ বছর পর ফিরে পেলেন স্বজনদের

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার পৌরসভা এলাকায় ৪৪ বছর যাবত অবস্থান করা প্রায় ৮০ বছর বয়সের নাম ও পরিচয়হীন বাকপ্রতিবন্ধী অজ্ঞাত বৃদ্ধার অবশেষে পরিচয় মিলেছে। সে বগুড়ার গাবতলি উপজেলার নসিপুর ইউনিয়নের নিজ গ্রামের আফতাব মন্ডলের স্ত্রী। বিভিন্ন পত্রিকায় তার স্বচিত্র এক সংবাদ প্রকাশের পর ছবি দেখে তার দুই ছেলে আব্দুস সালাম ও বকুলসহ স্বজরা স্বজনরা সান্তাহার এসে তাকে সনাক্ত করে নিয়ে যায়। বৃদ্ধাটিকে হস্তান্তর করেন স্থানীয় কাউন্সিলর আফজাল হোসেনসহ গন্যমান্য ব্যক্তিরা।

দেশ স্বাধীনের বেশ কয়েক বছর পর থেকেই অজ্ঞাত এই বাকপ্রতিবন্ধী নারীকে রথবাড়ি এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছিল। তখন সে বয়সে যুবতী থাকলেও কখনো মন্দির, কখনো মার্কেটের বারান্দায় আবার কারো বাসায় ঝি-এর কাজ ও ভিক্ষে করে জীবনযাপন করে আসছিল। “বুকি”নামে পরিচিত এই বাকপ্রতিবন্ধী বৃদ্ধা ভিক্ষে করলেও স্থানীয়রা তাকে দেখলেই সাহায্যের হাতবাড়িয়ে দেন। তার খাবার বা থাকার কোন অসুবিধা হয়না। এভাবে দীর্ঘ ৪৪ বছর সান্তাহারে থেকে যৌবন কাল পেরিয়ে বৃদ্ধাটি জীবনের সায়াহেৃ এসে পৌছেছে। বৃদ্ধাটি নিয়মিত নামাজ আদায়ও করতে ভোলেন না। তিনি কোন কথা বলতে না পারলেও তার নিকট স্বজদের কথা জানতে চাইলে তার দুই চোখে জলে স্বজনদের কাছে যাবার জন্য ইশারাই আকুতি জানায়। এই নাম ও পরিচয়হীন বাকপ্রতিবন্ধী বৃদ্ধাটিকে রথবাড়ি এলাকার কলেজ মোড়ে ক্ষুদ্র চা বিক্রেতা কমলা তার বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন।

এই বিষয়ে পত্রিকায় স্বচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর গত ৫ দিন আগে বৃদ্ধাটির সন্তান দুই ছেলে আব্দুস সালাম ও বকুল সান্তাহার আসেন এবং ওই বৃদ্ধা প্রতিবন্দী বুকি নামের মাকে সনাক্ত করে তাদের বাড়ীতে নিয়ে যান। সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মন্টু জানান, দীর্ঘ ৪৪ বছর পর পরিচয়হীন প্রতিবন্ধী বৃদ্ধাটি তাদের স্বজনদের সানিধ্য পেয়ে অনেকটাই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ ও আনন্দিত বলে মনে হয়। এ ছাড়া বৃদ্ধাকে তাদের স্বজদের নিকট হস্তান্তর করতে পেরে সান্তাহারবাসি খুশি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি মো: হাফিজার রহমান।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.