এ জয়ের ফলে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান মজবুত করেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
বল দখল ও আক্রমণেও আধিপত্য দেখিয়েছে লিভারপুল। ম্যাচে মোট ২৫টি শট নেয়, যার ১০টি ছিল লক্ষ্যে।
১২ শটের মাত্র দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারা প্যালেস এগিয়ে যেতে পারতো ম্যাচের শুরুতেই। তবে লিভারপুল গোলরক্ষকের দৃঢ়তা আর নিজেদের দুর্ভাগ্যে সেটা হয়নি।
৩৮তম মিনিটে দিয়োগো জটা সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন। গোলবার থেকে মাত্র পাঁচ গজ দূরে দাঁড়িয়েও বল জালে প্রবেশ করাতে পারেননি তিনি। ফাঁকায় দাঁড়িয়ে উড়িয়ে মারলেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।
এমন অবিশ্বাস্য মিসের পাঁচ মিনিট পরই গোলের দেখা পায় লিভারপুল। কর্নারে সালাহর হেডে আরেকটি দুর্দান্ত সেভ করেন গুয়াইতা; কিন্তু এবারও বল হাতে রাখতে পারেননি তিনি। কাছ থেকে কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন মানে।
এই নিয়ে লিগে টানা দুই ও আসরে মোট তিন ম্যাচে গোল পেলেন সাদিও মানে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে লিভারপুলের জার্সিতে তার গোল হলো ১০০। মানের ওই গোলে ১-০ স্কোরলাইনে বিরতিতে যায় দুই দল।
৭৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সালাহ। কর্নারে ভার্জিল ফন ডাইক হেড করতে লাফিয়ে ঠিকমতো বলে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি। তার কাঁধে লেগে বলে যায় সালাহর পায়ে। ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন মিসরীয় ফরোয়ার্ড।
৮৯তম মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করেন কেইটা। লিভারপুলের প্রথম প্রচেষ্টা ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়েছিলেন গুয়াইতা। কিন্তু ডি-বক্সের বাইরে বল পেয়ে দুর্দান্ত ভলিতে জালে জড়িয়ে দেন গিনির সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার।
রেফারির শেষ বাঁশিতে দুর্দান্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিভারপুল।
পাঁচ ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল।
১০ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে ম্যানচেস্টার সিটি। একটি করে ম্যাচ কম খেলা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, চেলসি ও এভারটনের পয়েন্টও সমান ১০ করে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.