সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় জনপদ সড়ক বিভাগের ও পাউবোর জায়গায় গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। সরজমিনে গেলে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানাগেছে, প্রভাবশালী ভুমিদৃশরা বিগত সময়ে অর্থের বিনিময়ে প্রভাব খাটিয়ে সাতক্ষীরা খুলনা সড়কের দুই ধারে সড়ক জনপদ বিভাগের জায়গায় অবৈধভাবে দখল করে গড়ে তুলেছে দোকানঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আলিশান বিল্ডিং।
সাতক্ষীরা খুলনা মহাসড়কে অবৈধ দখলকৃত খাস জায়গার উপর অবৈধ স্থাপনা ইতিপূর্বে কয়েক দফায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের নেতৃত্বে প্রশাসন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। কিন্তু পুনারায় আবারও অর্থের বিনিময়ে প্রভাব খাটিয়ে প্রভাবশালীরা সাতক্ষীরা খুলনা সড়কের দুই ধারে সড়ক জনপদ বিভাগের জায়গায় অবৈধভাবে দখল করে গড়ে তুলেছে দোকানঘর প্রতিষ্ঠান ও আলিশিয়ান বিল্ডিং স্থাপনা।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানান, সাতক্ষীরা খুলনা মহাসড়কের বিনেরপোতা সংলগ্ন ব্রীজের দক্ষিণ-পচ্চিম দিকে বেতনানদীর ধারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ও এসিল্যান্ট জায়গায় এক সময় হাটবাজার এবং খেয়াঘাট ছিল। প্রতিবছর হাটবাজার ও খেয়াঘাট সরকার কর্তৃক হতে ইজারা ডাক হতো। বিনেরপোতা সংলগ্ন ব্রীজের দক্ষিণ-পচ্চিম দিকে বেতনানদীর ধারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ও এসিল্যান্ট খাস জায়গা স্থান পরিবর্তন হয়ে মেঘলা মোড়ে ও বিনেরপোতা ব্রীজে উত্তর দিকে মৎস্য সেট, হাটবাজার স্থাপনা হয়। ফলে বিনেরপোতা সংলগ্ন ব্রীজের দক্ষিণ-পচ্চিম দিকে সড়ক বিভাগ, বেতনানদীর ধারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ও এসিল্যান্ট জায়গাটি খালি ফেলানো থাকে।
পরবর্তীতে ওই সময় প্রশাসনের সহায়তায় বিভিন্ন এলাকার রাস্তার ধারে রাত জীবন জাপন কাটানো অসহায় গরীব ভুমিহীন মানুষ গুলো বিনেরপোতা সংলগ্ন ব্রীজের দক্ষিণ-পচ্চিম দিকে বেতনানদীর ধারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ও এসিল্যান্ট জায়গায় একটু মাথা গোজার ঠাই নিয়ে বসেছিল।
পরবর্তীতে বিগত সময়ে বেতনানদী খননের কারনে প্রশাসন অসহায় গরীব ভুমিহীন মানুষ গুলোকে পুনারায় পুনঃ বাসন করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে অসহায় গরীব ভুমিহীন মানুষদেরকে ওই জায়গা থেকে উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়। ঠিক সেই মূহুর্তে রাফসন গ্রুপ কর্তৃক বিগত সময়ে কতিপয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অর্থের বিনিময়ে সাতক্ষীরা খুলনা মহাসড়কের বিনেরপোতা সংলগ্ন বেতনানদীর ধারে পাউবো জায়গা, এসিল্যান্ট (ভুমি) ও সড়ক জনপদ বিভাগের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে আলিশিয়ান বিল্ডিং ও পাকা প্রাচীন গড়ে তলে।
বিনেরপোতা সংলগ্ন বেতনানদীর ধারে পাউবো, এসিল্যান্ট (ভুমি) ও সড়ক জনপদ বিভাগের দখলকৃত জায়গা দখলমুক্ত ও রাফসন গ্রুপের করা বিল্ডিং উচ্ছেদের দাবিতে স্থানীয় সাধারণ মানুষ সহ জেলা ভুমিহীন সমিতি, জেলা নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির নেতৃবৃন্দ কয়েক দফায় রাস্তায় নেমে মানববন্ধন ও সমাবেশ করলে রাফসন গ্রুপের দখলকৃত ওই জায়গাটি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃকপক্ষ সার্ভেয়ার দিয়ে মাপ জরিপ করে বিল্ডিং কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্ত মানববন্ধন সমাবেশ করে কোনো লাভ হয়নি সাধারণ মানুষের ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের। কিছুদিন যেতে না যেতেই রাফসন গ্রুপ ওই জায়গায় আবারও বিল্ডিং কাজ শুরু করে দিয়ে গড়ে তোলে আলিশান বিল্ডিং।
বর্তমানে সেখানে এখনো রাফসন গ্রুপের বিল্ডিং কাজ চলমান রয়েছে বলে এলাকাবাসিরা জানান।
স্থানীয়রা জানান, বর্তমান জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ সাতক্ষীরার সাধারণ ও অসহায় ভুমিহীন মানুষের সহ সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে তিনি ভুমিদৃশদের দখলকৃত সরকারি খাস জমি দখলমুক্ত ও উদ্ধার করতে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি একজন জেলার সাধারণ ও অসহায় ভুমিহীন মানুষের সহ সরকারের ও বিভিন্ন শ্রেণীর সাধারণ পেশার মানুষের পাশে মানবিক ও সরকারের কর্মকান্ড কাজে ছুটে চলেছেন। ইতোমধ্যে সদর উপজেলার এলাকায় ৩০ বিঘা খাস জমি দখলমুক্ত ও উদ্ধার করেছে জেলা প্রশাসক। তবে বিগত সময়ে জেলায় এমন মানবিক দক্ষতা জেলা প্রশাসক হিসেবে জেলার মানুষ পাইনি। তাই সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় সরকারি জায়গা দখলমুক্ত ও উদ্ধার করার জোর দাবি জানান।
এছাড়াও কদমতলা বৈকারী সড়ক, সাতক্ষীরা যশোর মহাসড়কে সড়ক, কালীগঞ্জ সড়ক, ভোমরা সড়ক ও সাতক্ষীরা আশাশুনি সড়কের ধারে বালু, খোয়া ও অবৈধ স্থাপন গড়ে তুলেছেন প্রভাবশালীরা। এসব এলাকায় সরকারি জায়গা দখলমুক্ত ও উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিমো. সেলিম হোসেন। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.