সাতক্ষীরায় এগিয়ে নিতে সংসদে যৌক্তিকতা তুলে ধরলেন এমপি সেঁজুতি

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সাতক্ষীরাকে এগিয়ে নিতে জাতীয় সংসদে বক্তব্য দিয়েছেন ৩১৩, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি।
বৃহস্পতিবার বাজেট অধিবেশনে ৯মিনিটের বক্তব্যে সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমাস, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, জাতীয় চার নেতাসহ সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে এই বাজেটকে স্বাগত জানাই।
এমপি সেঁজুতি বলেন, পদ্মা সেতুর সর্ব দক্ষিণের জেলা সাতক্ষীরা। ১৫ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই জেলায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে যা এই জেলার মানুষ কল্পনা করেনি, স্বপ্নেও দেখিনি। সেই সাতক্ষীরাতে আজকে মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল, ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি, মেডিকেল এসিটেন্ট ট্রেইনিং স্কুল, সাতক্ষীরা বাইপাস সড়ক, একাধিক ট্রেইনিং ইন্সটিটিউট, শতশত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিনা, বারি, ব্রি’র মতো তিনটি সেন্টার নির্মিত হয়েছে। হর্টি কালচারসহ বিভিন্ন ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। গ্রামের অজো পাড়াগাঁয়ে সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে সাতক্ষীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, অর্থনৈতিক অঞ্চল, বসন্তপুর নৌ বন্দর, ভোমরা স্থাল বন্দরসহ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সাতক্ষীরা ছয় লেন সড়কসহ জলবায়ু পরিবর্তনে উপকূলীয় অঞ্চলে বাঁধ রক্ষায় গাবুরা ইউনিয়নে ১হাজার ২১কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। কপোতাক্ষ রক্ষায় ৫২৩কোটি টাকার প্রকল্প, সাতক্ষীরা শহরে জলবদ্ধতার নিরসনে ৪৭৫কোটি প্রকল্পসহ অসংখ্য প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।
জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলে সাতক্ষীরা জেলা খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং খাদ্য শস্যে উৎপাদনে একটি অনন্য জেলায় রূপান্তরিত হয়েছে। প্রতি বছর জেলায় ৬ লক্ষ মেট্রিকটন চাল, শীতকালীন গ্রীষ্মকালীন ৪ লক্ষ মেট্রিকটন সবজি, ১১ লক্ষ মেট্রিকটন গলদা চিংড়ি ও ১.৫ লক্ষ মেট্রিকটন সাদামাছ উৎপাদন হয়। বছরে ৫০হাজার মেট্রিকটন হিমসাগর ও গোবিন্দভোগসহ বিভিন্ন রকমের আম উৎপাদন হয়। ১১ হাজার মেট্রিকটন কুল উৎপাদন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা হিসাবে দুধ উৎপাদন হয় ১লক্ষ ৫০ হাজার লিটার। সুন্দরবন থেকে বছরে প্রায় ১ হাজার কুইন্টাল মধু উৎপাদন হয়।
জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এমপি সেঁজুতি বলেন, আমাদের উৎপাদিত পণ্য ঢাকায় পাঠাতে অনেক খরচ হয়। সাতক্ষীরা থেকে প্রতি কেজি আম পাঠাতে খরচ হয় ২০ টাকা আর উত্তরবঙ্গ থেকে ট্রেনে খরচ ২টাকা। বাংলাদেশে অন্যতম স্থল বন্দর ভোমরা স্থল বন্দর কলকাতা থেকে সন্নিকটে মাত্র ৮৬ কিলিমিটার। বাণিজ্য সম্প্রসারণে আমাদের রেল লাইন স্থাপন দরকার- এটা জনগণের দাবি। আইলার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুর্গম এলাকায় গিয়ে সকল দাবি পূরণ করে এসেছিলেন। শুধুমাত্র একটি দাবি রেললাইন আজও বাস্তবায়ন হয়নি বাজেট না থাকার কারণে। সবদিক বিবেচনা করে যদি রেললাইন বাস্তবায়ন হয় তাহলে সাতক্ষীরার উন্নয়নে একধাপ এগিয়ে যাবে। আমি সাতক্ষীরা নাভারণ থেকে মুন্সিগঞ্জ রেললাইনটি স্থাপনের দাবি জানাই। সংসদে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মো. সেলিম হোসেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.