সাতকানিয়ায় বন্যা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি, দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বন্যা পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতির দিকে রয়েছে। সড়ক মহাসড়ক ডুবে যাওয়ায় দুই লক্ষাধিক মানুষ এখন রয়েছেন পানিবন্দী। পানিবন্দে মানুষদের মাঝে পানিবন্ধে লোকজনের মাঝে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে।
শুক্রবার থেকে টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যৎসামান্য প্রাণ ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয়। তবে অধিকাংশ এলাকা অধিকাংশ এলাকায় সরকারী তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো ত্রাণ সামগ্রীর বিতরণ করা হয়নি। সড়ক ডুবে যাওয়ায় বান্দরবানের সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ সোমবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
অপরদিকে সোমবার দিবাগত রাত থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশ উপজেলার দেওযান হাট পাঠানিপুল এলাকা,সাতকানিযার কেরানিহাট, হাসসত আলি সিকদারের দোকান, লোহাগাড়া উপজেলার বার আউলিয়া ডিগ্রী কলেজ এলাকায় পানির নিচে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় কক্সবাজারের সাথেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এদিকে সাতকানিয়ার বানভাসি মানুষদের তড়িৎ উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েনের খবর পাওয়া গেছে। এই রিপোর্ট লেখা মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সময়ে সেনাবাহিনী মাঠে কাজ শুরু করেনি।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বিটিসি নিউজকে বলেন, সাতকানিয়ার ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার অধিকাংশ এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদ ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে পানি উঠে যাওয়ায় কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। আমরা বানভাসি মানুষদের পানিবন্দি অবস্থা থেকে দ্রুত উদ্ধারের কাজ করছি। পাশাপাশি শুকনো খাবার ও বিতরণ করা হচ্ছে।
সোমবার রাত দশটা থেকে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।
বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বিদ্যুৎ লাইন সচল করা সম্ভব নেয় বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগ।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর চট্টগ্রাম প্রতিনিধি মো. মোতাহার আলী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.