সাইকেলে করে মায়ের মরা দেহ, মেলেনি প্রতিবেশীদের সাহায্য

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার ভারতের উড়িশ্যার সুন্দরগড়ের বাসিন্দা কৃষক সরোজ এর মা মারা যান। সন্তানের জন্য সবচেয়ে কঠিন সময় এটি। এসময় সাধারণত আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। দেন সান্ত্বনা। কিন্তু ছেলে সরোজের ভাগ্যে সেটা আর হয়নি, বরং পেয়েছেন আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের অসহযোগিতা।

হাতে টাকা না থাকায় আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের কাছে সাহায্য চান। কিন্তু সাহায্য না পেয়ে সৎকারের জন্য সাইকেলে করে মায়ের দেহ নিয়ে যায় শ্মশানে৷

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়, শৈশবেই সরোজের বাবা মারা যায়। মা জানকী সিংহানিয়াই তারপর থেকে সংসার চালাতেন৷ বাড়ির কাজ থেকে ছেলের দায়িত্ব সবই একা হাতে সামলাতেন তিনি। আজ সকালে বাড়ির কুয়ো থেকে পানি তুলছিলেন তিনি ৷ সেই সময় আচমকাই উঠোনে পড়ে অচৈতন্য হয়ে মারা যান জানকী৷

মা ছাড়া আর কেউই ছিল না সরোজের৷ মা মারা যাওয়ার পর দিশাহারা হয়ে পড়েন। ‘নিচু’ জাতের কারণে তার কপালে সাহায্য যুটেনি ৷ তাই বাধ্য হয়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত কাপড় দিয়ে মায়ের দেহ মুড়ে সাইকেলে চাপিয়ে নেন।

এরপর পাঁচ কিলোমিটার দূরের জঙ্গলে নিয়ে যান মায়ের মরদেহ ৷ পথে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে দেখা হয় তার ৷ কৌতূহলীদের নানা প্রশ্নেরও মুখোমুখি হতে হয় তাকে৷ শেষ পর্যন্ত একাই জঙ্গলে গিয়ে মায়ের দেহ সৎকার করেন।

এ ঘটনার পর ভারতে ধর্ম-বর্ণের বৈষম্য নিয়ে বেশ সমালোচনা শুরু হয়। অনেকে বলেন, এখনো ভারত এই বৈষম্য থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.