সাংবাদিক সম্মেলনে রংপুর বিভাগের জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের পক্ষে সিটি মেয়র ।। ওছিয়তকৃত রংপুরের পল্লী নিবাসেই এরশাদকে সমাহিত করার দাবি

রংপুর ব্যুরো:  চিকিত্সাধীন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সুস্থ্যতা কামনা করে তিনি মারা গেলে তাঁর ওছিয়তকৃত রংপুরের পল্লী নিবাসেই তাঁকে সমাহিত করার দাবি জানিয়েছেন রংপুর বিভাগের জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।

এজন্য অসুস্থ্য হওয়ার আগে তিনি একটি সমাধি কাম কমপ্লেক্স’র ডিজাইনও করেছিলেন। 

আজ সোমবার সন্ধায় রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির রংপুর বিভাগ, জেলা, মহানগরসহ সহযোগি ও অঙ্গ সংগঠন এবং রংপুর বাসির পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মহানগর সভাপতি রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সহ সভাপতি আজমল হোসেন লেবু, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজি আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাফিউল ইসলাম শাফী,  কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মুনশী আব্দুল বারী, মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন, সাংগঠনিক জাহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা সদস্য সচিব আলহাজ্ব মাসুদার রহমান মিলন, জেলা যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান নাজিম, মহানগর ছাত্র সমাজের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত, জেলা ছাত্রসমাজের আহবায়ক আশরাফুল আলম জবা, যুগ্ম-আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আল আমিন সুমন, সোবহান মজিদ বিদ্যুত্ , সদস্য সচিব আসলাম খান প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে রংপুর সিটি মেয়র বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান রংপুরের কৃতি সন্তান, বাংলাদেশের সফল সাবেক রাষ্ট্রপতি, আধুনিক উন্নত বাংলাদেশের রুপকার, সারা বিশ্বের রাজনীতির অহংকার এবং আমাদের রাজনৈতিক পিতা। আমরা মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে তার সুস্থ্যতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

মেয়র বলেন, প্রকৃতির নির্ধারিত নিয়মে তিনি পৃথিবী থেকে চলে গেলে আমাদের রাজনৈতিক পিতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এমপি মহোদয়কে তাঁর ওছিয়তকৃত স্থান পল্লী নিবাসেই করতে হবে। কারন হিসেবে তিনি বলেন, আমরা ঢাকায় খোলা স্পেসে তাঁকে সমাহিত করার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু তার কোন সদুত্তর পাওয়া যায় নি। আমরা এরশাদের দেয়া জাতীয় তিন নেতার মাজারের পাশে অথবা সংসদ ভবনের পাশে আসাদ গেট এলাকায় মশিউর রহমান যাদু মিয়ার কবরের পাশে জায়গার জন্য সরকারকে বলেছি। কিন্তু সে ব্যপারে আমাদের কোন আশ্বাস দেয়া হয় নি। মোহাম্মদপুর কবরস্থানে  সেই এলাকার মেয়র মাত্র একটি কবরের জায়গা দেয়ার জন্য রাজি হয়েছেন। এরশাদকে সেখানে সমাহিত করার কোন প্রশ্নই উঠে না। ক্যান্টনমেন্টে এরশাদকে সমাহিত করা হলে আমরা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা তার কবরও জেয়ারত করতে পারবো না। সেকারণে তার সমাধি রংপুরের মাটিতে তাঁর নিজের গড়া পল্লী নিবাসেই দিতে হবে।

কান্না বিজরিত কণ্ঠে মেয়র বলেন, অসুস্থ্য হওয়ার কিছুদিন আগে তিনি পাটির বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সাথে আলাপচারিতায় তার অন্তিম সমাধি রংপুরের পল্লী নিবাসে করার জন্য ওছিয়ত করে যান। সেজন্য তিনি একটি একটি সমাধি কাম  কমপ্লেক্স নির্মানের জন্য ডিজাইন প্লানিংও করেছিলেন। কিন্তু অসুস্থ্য হওয়ার কারনে সেই প্লানিং তিনি জনসমুখে বলে যেতে পারেন নি। সেকারনে আমরা জাতীয় পার্টি রংপুর বিভাগ, জেলা, মহানগরসহ সহযোগি ও অঙ্গ সংগঠন এবং রংপুর বিভাগ বাসির পক্ষ থেকে জাতীয় পার্টির মাননীয় চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এমপির সমাধি তাঁর ওছিয়তকৃত স্থানে করার আকুল আবেদন জানাচ্ছি। মাননীয় চেয়ারম্যানের সমাধিকে আকড়ে ধরেই আমরা তাঁর জীবন দর্শন বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

দাবি মানা না হলে কিভাবে তা আদায় করবেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ঢাকায় খোলা স্পেসে আমাদের দাবিকৃত জায়গা ছাড়া অন্য কোন জায়গায় আমরা এরশাদের সমাধি হতে দেবো না। তা হলে যেভাবেই হোক রংপুরে সমাহিত করার ব্যবস্থা করা হবে। এজন্য যা যা করা দরকার তাই করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রংপুর ব্যুরো প্রধান সরকার মাজহারুল মান্নান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.