সশস্ত্র বাহিনী দিবসে স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ

বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি: আজ ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী। ১৯৭১ সালের এই দিনে ‘বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার ফোর্সেস’র সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী’র সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত হয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী অস্তিত্ব লাভ করে।
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তর দশ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকেট, দশ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম, ৫ (পাঁচ) টাকা মূল্যমানের একটি ডাটাকার্ড ও একটি বিশেষ সীলমোহর প্রকাশ করেছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আজ রবিবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীতে বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত এবং  ডাটাকার্ড প্রকাশ করেন। মন্ত্রী এ সময় বিশেষ সীলমোহর ব্যবহার করেন।
স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ খলিলুর রহমান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইকবাল আহমেদ, বিটিআরসি‘র ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিরাজ উদ্দিন বক্তৃতা করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন বিভিন্ন সংস্থা প্রধানগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ডাকটিকেট প্রকাশের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইকবাল সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে এ ধরণের একটি উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য মন্ত্রীকে সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।
এদিকে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে একটি বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে ২১ নভেম্বর’কে একটি মহান দিন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণের সূচনা করে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর থেকে।
তিনি বলেন, ‘এই মহান দিনটির সুবর্ণ জয়ন্তীকে অর্থাৎ ৫০ বছর আগে যুদ্ধের ময়দানে বীরত্ব ও ত্যাগের মহিমা’র বিষয়টি স্মারক ডাকটিকেটের মাধ্যমে স্মরণীয় করে রাখতে পারা আমাদের জন্য খুবই গৌরবের।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাঙালি জাতিকে স্বাধিকার আদায়ে উদ্বুদ্ধ করে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ রাতে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালি সেনা, ছাত্র, ও সাধারণ জনতা মিলে গড়ে তোলেন সামরিক বাহিনী। শুরু হয় দুর্বার মুক্তিযুদ্ধ।
মন্ত্রী বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ছিল জনযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের মাঠেই বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জন্ম হয়। জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনী মনে-প্রাণে একাত্ম হয়ে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। তার মধ্যদিয়ে জনগণের সঙ্গে সেনাবাহিনীর আত্মার ও রক্তের সম্পর্ক তৈরি হয়।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী জাতির সাহস, আস্থা, আত্মবিশ্বাস এবং গর্বের প্রতীক এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়ন কর্মকান্ডে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা অতি গুরুত্ববহ ও অপরিহার্য ভূমিকা পালন করছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি মো: ফারুক আহম্মেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.