সরকার প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছে -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, সরকার প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছে। সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সকল নাগরিক চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছে। দেশের উন্নয়নে বিদ্যুতের কোন বিকল্প নেই। বিদ্যুতের উন্নয়নে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে সরকার ।

তিনি আজ দুপুরে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের লাইন বিলপাবলা সার্বজনীন দূর্গা মন্দির প্রাঙ্গণে লাইন বিলপাবলা গ্রামে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এঁর হাত ধরেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। যে সব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া সম্ভব নয়, সে সব এলাকায় সৌর বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির সুফল পেতে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া অপরিহার্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় ৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ডুমুরিয়ার ভদ্রার নদী খনন কাজ প্রায় শেষের পথে এবং প্রায় দুইশ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনা জিরো পয়েন্ট থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত সড়কের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ডুমুরিয়া জোনের ডিজিএম মোঃ আবুল বাশার আজাদ, খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম (সদর ও কারিগরি) মোঃ গোলাম কাউসার তালুকদার, উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুত দাস এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী নূরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহাসভাপতি বিজয় সরকার।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সুইচ টিপে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন উদ্বোধন করেন। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় লাইন বিলপাবলা গ্রামে প্রায় ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় সাত কিলোমিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে ৩৬৭টি পরিবারের মধ্যে আজ বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়। এর আগে তিনি প্রায় এক কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে লাইন বিলপাবলা-উত্তর বিলপাবলা-শিকদারপাড়া-জংশন মোড় পর্যন্ত সড়কের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

সকালে মন্ত্রী প্রায় ৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ডুমুরিয়ার ভদ্রা নদীর খনন কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করে খনন কাজের সন্তোষ প্রকাশ করেন বলেন, এ নদী খনন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান। তিনি বলেন, দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়া বাকি খালগুলো পর্যায়ক্রমে খননের উদ্যোগ নেয়া হবে। এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তিনি জয়খালী নির্মাণাধীন মসজিদ ও মন্দিরের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.