সরকার পতনের ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে যে শাস্তির ঘোষণা দিলেন মুইজ্জু

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিরোধীদের বিরুদ্ধে ‘আর্থিক অভ্যুত্থানের’ চেষ্টা করার অভিযোগ তুলেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু। একইসঙ্গে সরকারকে পতনের ষড়যন্ত্রের পিছনে যারা রয়েছে তাদের সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
মালদ্বীপের স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড থেকে বিদেশি লেনদেন স্থগিত করার ঘোষণা দেয় মালদ্বীপের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (বিএমল)। এতে খবর ছড়িয়ে পড়ে, ব্যবহারযোগ্য ডলারের রিজার্ভ ফুরিয়ে ‘মাইনাসে’ চলছে মালদ্বীপের রিজার্ভ। এমন আবহে জনগণের মধ্যেও আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে।
আন্তর্জাতিক লেনদেন স্থগিত করা মানে দেশে কোনো রিজার্ভ নেই।  এতে বিদেশি বিনিয়োগ থেকে শুরু করে দেশের আমদানি-রফতানি থমকে যায়। ২০২২ সালে এমন পরিস্থিতি হয়েছিল শ্রীলংকায়।
তবে কয়েক ঘণ্টা পরই ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড থেকে বিদেশি লেনদেন স্থগিত সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করে নেয় মালদ্বীপের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মুইজ্জু দাবি করেছেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়ার মাধ্যমে মালদ্বীপে আর্থিক বিপর্যয় আনতে চাইছেন বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার সঙ্গে পরামর্শ না করেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তিনি জানার পরপরই এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, মালদ্বীপের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সরকারের নিয়োগ দেওয়া পরিচালক রয়েছেন মাত্র চারজন। অন্যদিকে সরকারের বাইরে পরিচালক রয়েছেন পাঁচজন। ফলে ব্যাংকটিতে সরকারের একচেটিয়া প্রভাব কিংবা সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই।
এ দিকে মালদ্বীপের অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ সাঈদ অভিযোগ করে বলেন, ‘দেশের আর্থিক অবস্থাকে ব্যাহত করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
তবে ক্ষমতাসীন দলের এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মালদ্বীপের প্রধান বিরোধী দল মালদ্বীপিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিপি)। দলটির চেয়ারপারসন ফয়েজ ইসমাইল বলেন, ‘অভ্যুত্থান যদি হয়, তা হলে তা সরকারের ভেতর থেকেই হবে এবং এর জন্য দায়ী থাকবে সরকারই। এতে বিরোধীদের কোনও হাত নেই।’ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.