সরকার পতনের কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গেছে : রিজভী

খুলনা ব্যুরো: শেখ হাসিনার সরকারের পতনের কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গেছে উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, এক দফার আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নিতে গণতন্ত্রমনা সকল দল কর্মসূচি দিয়েছে। উনি আর ক্ষমতায় থাকতে পারছেন না।
আজ শুক্রবার (১৪ জুলাই) খুলনায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন আয়োজিত উপ বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। গুম-খুন, নির্যাতিত, অসহায় ও অস্বচ্ছল নেতাকর্মীদের পরিবারের সন্তানদের মাঝে এ উপ বৃত্তির অর্থ তুলে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, আইএমএফ’র চাপে সরকার স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে রিজার্ভ ২৩.৭ মিলিয়ন ডলার। এরা দূর্নীতির মাধ্যমে রিজার্ভ শেষ করেছে। অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। গণতন্ত্র শেষ করেছে। ব্যাংকগুলো এলসি খোলা বন্ধ করে দিয়েছে।
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের জনকল্যাণমুখি কর্মকান্ড তুলে ধরে রিজভী বলেন, নির্যাতন নীপিড়নের শিকার রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও তার পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছে ফাউন্ডেশন। তাদের চিকিৎসা, শিক্ষা ও পুনর্বাসনে সহায়তা করা হচ্ছে। জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকতে এ ধরনের গণমুখি কর্মকান্ডের মাধ্যমে রাজনীতিকে জনগনের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। আজ যাদেরকে শিক্ষা বৃত্তি দেয়া হলো, তাদের লেখাপড়ার মানের দিকে সতর্ক নজর রাখার আহবান জানান রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, এই সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। এখন খাতায় কিছু না লিখলেও পাশ করা যায়। দুই লাইন লিখলে পাওয়া যায় জিপিএ পাঁচ।
দেশ আজ চরম সংকট ও সমাজে আতংকের পরিবেশ বিরাজ করছে দাবি করে রিজভী বলেন, জনগণের কাছে দেশের মালিকানা থাকলে আজকের রাজনীতি অন্য রকম হতো। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে সার্বিক কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে, যার মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তাঁর বক্তব্যের আগে পুলিশের গুলি, নির্যাতন ও শাসক দল আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত পাঁচজন নেতার পরিবারের সন্তানদের লেখাপড়ার ব্যয় নির্বাহের জন্য উপ বৃত্তির অর্থ তুলে দেয়া হয়।
বৃত্তিপ্রাপ্তরা হলেন, সাতক্ষীরার বিএনপি নেতা ওলিউল্লাহর স্ত্রী মিসেস সালিমা, বাগেরহাটের স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নূরে আলম ভূঁইয়া তানুর স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, ঝিনাইদহের বিএনপি নেতা মিন্টু বিশ্বাসের স্ত্রী মোসাম্মাৎ তাহমিনা আক্তার, ঝিনাইদহের যুবদল নেতা পলাশের বাবা গোলাম মোস্তফা এবং খুলনার ফুলতলায় শেখ মোঃ সাজ্জাদুজ্জামান জিকোর মাতা।
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের শিক্ষা উপ বৃত্তি প্রকল্প উপ কমিটির আহবায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোঃ লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ ফরহাদ হালিম ডোনার, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, সহ প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খান, ফাউন্ডেশনের রিহ্যাবিলিটেশন কমিটির চেয়ারম্যান ডাঃ শাহ মোঃ আমানুল্লাহ, খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা, জেলা আহবায়ক আমির এজাজ খান, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী।
অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন শহীদ তানু ভূঁইয়ার বিধবা স্ত্রী কানিজ ফাতেমা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবীদ শামীমুর রহমান শামীম ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক নাজমুস সাদাত।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.