সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে, কেউ যেন অনাহারে না থাকে : তথ্যমন্ত্রী

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে, কেউ যেন অনাহারে না থাকে।

তিনি আজ রবিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীতে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সীমিত পরিসরে অফিস খোলার প্রথম দিন অনলাইনে গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে একথা বলেন। এসময় তথ্যসচিব কামরুন নাহার, প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার ও মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে যাতে এ বিশেষ পরিস্থিতিতে যারা দিন এনে দিন খায়, যারা দরিদ্র, তাদের অসুবিধা না হয়। সরকারের পাশাপশি বিত্তবান, দয়ালু এবং সমাজসেবীরাও এগিয়ে এসেছেন।

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দও সারাদেশে দরিদ্র মানুষের সহায়তা এগিয়ে এসেছে। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য একজন মানুষও যেন অনাহারে না থাকে। সেই লক্ষ্যেই সরকার কাজ করে যাচ্ছে।”

ড. হাছান জানান, করোনা ভাইরাস থেকে দেশবাসীকে মুক্ত রাখার লক্ষ্যে এবং এ ভাইরাস যাতে জনসাধারণের মাঝে না ছড়ায়, সেজন্যে সরকার ২৬ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল এবং পরবর্তীতে সেই ছুটি বৃদ্ধি করে ৫ মে পর্যন্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ছুটি চলাকালীনও যেহেতু জরুরি সেবা দিতে হয় সেজন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর যেমন তথ্য অধিদফতর, গণযোগাযোগ অধিদফতর, বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন চালু ছিল। সেকারণে আমাদের কর্মকর্তাদের সীমিত আকারে অফিস করতে হয়েছে। সম্প্রতি সরকার জরুরি বিভিন্ন বিভাগ এবং মন্ত্রণালয়, যেগুলো সবার সাথে যুক্ত সেগুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তগ্রহণ করেছে।

বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ সরকারের নানা সহায়তা কর্মসূচির আওতায় আছে এবং সহায়তা পাচ্ছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ভিজিডির মাধ্যমে ১০ লাখ ৪০ হাজার পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা মূল্যে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। সাড়ে ১২ লাখ পরিবার ওএমএসের মাধ্যমে সহায়তা পাচ্ছে। আগামী মাসে ৩ লাখ পরিবার মৎস্য ভিজিএফ পাবে। এর বাইরে জেলা প্রশাসন শাক-সবজি, দুধ কিনে জনগণের মধ্যে বিতরণ করছে।’

ড. হাছান বলেন, এ বিশেষ পরিস্থিতির কারণে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল পর্যন্ত ১ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন চাল, ৪৯ কোটি টাকা ও শিশুখাদ্যের জন্য বিশেষ নগদ অর্থ ১১ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তাছাড়াও বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ভাতাসহ নানাবিধ ভাতার মাধ্যমে দেশের আরো প্রায় ১ কোটির কাছাকাছি লোক নানাধরণের সহায়তা পাচ্ছে।

অর্থাৎ দেশের এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ সরকারের এই সহায়তার আওতার মধ্যে রয়েছে।’ # ( সূত্র: বাসস ) #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.