সরকারের প্রজ্ঞাপন মানছেননা সরকারী কর্মকর্তারা, সকাল ১০টায়ও তালা ঝুলছে কর্মকর্তাদের কক্ষে

উজিরপুর প্রতিনিধি: সরকারের প্রজ্ঞাপন মানছেননা সরকারী কর্মকর্তারা। বরিশালের উজিরপুরে সরকার ঘোষিত প্রজ্ঞাপন অনুসারে সকল অফিস আদালত সকাল ৮ টা থেকে ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখার কথা থাকলেও তার উল্টো হয়েছে উজিরপুরে। সকাল ১০ টায়ও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা কর্মকর্তাদের , অফিসে ঝুলছে তালা।
অভিযুক্তদের তথ্যের আলোকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৯.৩০ মি: থেকে ১১.০০ টা পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মকর্তা একেক অযুহাত দিয়ে অফিসে প্রবেশ করছে। কেহ কেহ অফিসে আসছেন না। তবে যথা সময়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছাড়া আর কাউকেই পাওয়া যায়নি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাছলিমা বেগমের সাথে বেলা ১১ টায় কথা হয় উপজেলা গেটে। কেন দেরী হলো তার উত্তরে তিনি শরীর তেমন ভাল নয় বলে জানান। সমবায় কর্মকর্তা রিয়াজ খানকে সাড়ে ১০ গিয়ে পাওয়া যায়নী। তিনি সমিতির মিটিংয়ের কথা বলে এড়িয়ে যান। মৎস কর্মকর্তা শরীরে জ্বর থাকায় অফিস করেননী। হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা এসেছেন ১০ টার পরে। খাদ্য কর্মকর্তা অফিসে আসেননি।
তিনি বানারীপাডায় অতিরিক্ত দায়ীত্বে আছেন বলেন অফিস সহকারীরা জানান। জাতীয় মহিলা সংস্থার কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন অফিস আসেননি বলে জানান, জেলায় মিটিং এ ছিলেন। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কাজী ইসরাত জাহান ১০ টার পরে অফিসে আসার কথা স্বীকার করেছেন। প্রানী সম্পাদ কর্মকর্তা ড: মো: গোলাম মাওলা অফিসে আসেন পৌনে ১১ টায়। তবে তার শরীর প্রচন্ড অসুস্থ বলে জানান।
উপজেলা কৃষিবিদ মোঃ তৌহিদ জানান, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের নিয়ে বরিশালে মিটিংএ আছেন, উপজেলা সমাসসেবা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ তিনিও সোয়া ১০টায় অফিসে ঢুকেন। তবে বরিশাল ডিডি অফিসে কাজে গিয়েছিলেন বলে জানান। উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মোঃ শাহিনুর জ্জামান ছুটিতে আছেন। পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নতুন যোগদান করায় যথাসময়ে উপস্থিত হয়েছেন বলে তিনি দাবী করেন।
উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা রবিন্দ্র চক্রবর্তী তিনি ঢাকায় ট্রেনিং এ আছেন বলে জানিয়েছেন। উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা তিনিও সোয়া ১০টার পড়ে অফিসে উপস্থিত হয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তাকেও ১০টার পূর্বে অফিসে পাওয়া যায়নি। উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার ইমরান খান অফিস শুরু করেন বেলা ১১টার পড়ে। কে সুনে কার কথা, ভোগান্তিতে জনগণ। সরকারের বানী নিভৃত্বে কাঁদে।
এসকল অভিযোগের ব্যাপারে হারতার জীবন কৃষ্ণ জানান সরকারের ঘোষনা অনুযায়ী ৮টায় অফিস খোলার কথা সুনে উজিরপুরে ছুটে আসি, ১০টায়ও কর্মকর্তাদের পাওয়া যায়না। উজিরপুরে সরকারী বাসভবনগুলো অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে জেলা শহরের সাথে এই উপজেলা নিকটবর্তী হওয়ায় কোন কর্মকর্তাই নিজ কর্মস্থলে বসবাস করেন না। বড় ধরনের কোন দূর্ঘটনা দেখা গেলে রাতেই ছুটে আসতে হয় ওই কর্মকর্তাদের।
শুধুমাত্র কর্মকর্তাদের মধ্যে উজিরপুরে বর্তমানে বসবাস করেন সহকারী কমিশনার ভুমি অর্ণব দত্ত, উপজেলা নির্বাচন কমকর্তা শেখ আব্দুর রশিদ, আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তার শাহিনুর জামান। প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী বরিশাল সদরে বসবাস করেন, চাকুরী করেন উজিরপুর।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে জানান আমি কিছুদিন ছুটিতে ছিলাম।
আজ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মিটিংয়ে রয়েছি বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে। তবে ঘন্টা খানেকের মধ্যে এই সংক্রান্ত সরকারের প্রজ্ঞাপনের একটি করে কপি প্রতেক দপ্তরে পৌছে দিয়েছেন অফিস স্পাফরা।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ মজিদ সিকদার বাচ্চু বিটিসি নিউজকে জানান, সরকারের নিয়ম শৃঙ্খলা ও প্রজ্ঞাপন প্রত্যেক কর্মকর্তা কর্মচারীর মেনে চলা একান্ত আবশ্যক। এ বিষয়ে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। বরিশাল জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিন হায়দার এর মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করা হলেও ফোনটি রিসিভ হয়নি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর উজিরপুর প্রতিনিধি আঃ রহিম সরদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.