বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত বর্তমান সরকারের কোনও উন্নয়নই চোখে দেখতে পায় না। তারা শুধু ক্ষমতায় যাবার জন্যই রাজনীতি করে। তারা দেশের মানুষের কল্যাণের কথা ভেবে রাজনীতি করে না। ক্ষমতার লোভে তারা পেট্রোল দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারতেও দ্বিধা করে না।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে জাতির পিতার ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মাল্টিপারপাস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, তারা সামান্য অজুহাতেই মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়। সিলেটে বন্যার সময় তারা বন্যার্ত মানুষের জন্য কিচ্ছু করেনি। তাদের সময় বিদ্যুৎ মাঝে মাঝে আসতো, বিদ্যুৎ থাকতোই না। তারা অফিসে, ঘরে এবং কল-কারখানায় কোথাও বিদ্যুৎ দিতে পারে নাই। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধের কারণে সাময়িক সময়ের জন্য কয়েক ঘণ্টা লোডশেডিং নিয়েই বিরাট রাজনীতি শুরু করেছে বিএনপি।
যুদ্ধের কারণে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই দ্রব্যমূল্য বেড়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্যে মানুষ এখন খাবার বাঁচাতে দুই বেলা খাচ্ছে। কই আমাদের দেশে তো এরকম হয়নি। দেশের মানুষ যাতে অর্থনৈতিক চাপে না পড়ে এজন্য বিদ্যুতের কিছু লোডশেডিং হচ্ছে। এগুলো তো সাময়িক সমস্যা। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের মতো দেশ এখন কোনও অকার্যকর, ব্যর্থ ও দুর্নীতিতে পরপর চার বার চ্যাম্পিয়ন নয়। করোনার এত বড় ধাক্কার পরও বাংলাদেশের মানুষ অভাবে না খেয়ে নেই। দেশের মানুষকে খাবার বাঁচাতে দুই বেলা খেতে হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের ভালো থাকা নিয়ে ভাবে, আর বিএনপি-জামায়াত দেশকে লুটেপুটে খাবার জন্য ক্ষমতায় যেতে চায়। এগুলো দেশের মানুষ বোঝে। আর বোঝে বলেই, দেশের মানুষ শেখ হাসিনার সাথেই আছে। দেশের মানুষ আবারও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় এনে সেটা প্রমাণ করে দেবে।
সভায় বর্তমানে ডেঙ্গু পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, “ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনও হাত থাকে না। স্বাস্থ্যখাত চিকিৎসা দিতে পারে, কিন্তু মশা মারার কাজ স্বাস্থ্যখাতের নয়। ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে দ্রুততম সময়ে ঢাকার ডিএনসিসি হাসপাতালের ১০০০ বেড থেকে ৫০০ এবং বিএসএমএমইউ’র নতুন নির্মিত ফিল্ড হাসপাতালের ৪০০ বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। আরও লাগলে আরও বৃদ্ধি করা হবে। তবে মশা কমাতে হবে, এবং একই সাথে দেশের মানুষকে মশা যাতে না কামড়াতে পারে সে বিষয়েও সচেতন থাকতে হবে। বাড়িতে রাতে ঘুমানোর আগে মশারি লাগিয়ে ঘুমাতে হবে এবং বাসা-বাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।”
অনুষ্ঠান শুরুর আগে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট ভবনে অবস্থিত বহুতল মাল্টিপারপাস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর মাহমুদ হাসান, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. সিরাজুল ইসলাম শিশির, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল আর্সলান এবং গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. গোলাম কিবরিয়াসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি মো: ফারুক আহম্মেদ। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.