সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য মুখ খুললেন সাকিব

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাকিব আল হাসানকে আইসিসি দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর গত মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুধু লিখিত বক্তব্যটুকু পড়ে গিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। এরপর অনেক কিছু ঘটে গেছে। শাস্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভও করেছেন ভক্তরা। অনেকেই এর পেছনে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ভূমিকা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। এতকিছুর মধ্যে সাকিব ছিলেন নীরব। এবার তিনি মুখ খুলেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটা পোস্ট দিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। সাকিবের ভেরিফাইড পেজে দেওয়া স্ট্যাটাস হুবহু পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:

আমার সকল সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা, 
আমি এই বলে শুরু করতে চাই যে, আমার ও আমার পরিবারের দুঃসময়ে আপনাদের নিঃস্বার্থ সমর্থন ও ভালোবাসায় আমি আপ্লুত। দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার মর্ম গত কয়েকদিনে আমি সবচেয়ে ভালোভাবে অনুভব করতে পেরেছি।

আমি সবাইকে শান্ত থাকা ও ধৈর্য ধরার অনুরোধ করছি যারা আমাকে দেওয়া শাস্তির কারণে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন।

আমি নিশ্চিত করতে চাই, আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটের পুরো তদন্ত প্রক্রিয়াটা অত্যন্ত গোপনীয় এবং শাস্তি ঘোষণার মাত্র কদিন আগে খোদ বিসিবি বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারে। সেই সময় থেকে বিসিবিই আমাকে সবচেয়ে বেশি সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছে এবং এজন্য আমি কৃতজ্ঞ।

আমি বুঝতে পারি, কেনো আমাকে এত মানুষ সাহায্য করতে চাইছেন এবং সেটার মূল্যায়ন আমি করি। যাইহোক, সবকিছুর একটা প্রক্রিয়া আছে। আর আমি আমাকে দেয়া শাস্তি মেনে নিয়েছি, কারণ এটা যৌক্তিক ছিলো।

এখন আমার একমাত্র লক্ষ্য, মাঠে ফেরা এবং ২০২০ সালে বাংলাদেশের হয়ে খেলা। ততদিন পর্যন্ত আমাকে হৃদয়ে রাখবেন, প্রার্থনায় রাখবেন।
ধন্যবাদ।

শুরুতেই বলতে চাই, এই খারাপ সময়ে সকল ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষী যে নিঃস্বার্থ সমর্থন, ভালোবাসা নিয়ে আমার এবং আমার পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাতে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। শেষ কয়েকদিনে দেশের হয়ে মাঠে নামার গুরুত্ব আমি আরও ভালোভাবে অনুধাবন করতে পেরেছি৷

সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমার ওপর শাস্তি আরোপিত হওয়ায় ক্ষুব্ধ সকল ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের ধৈর্য ধরে শান্ত থাকার অনুরোধ করছি।

আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আইসিসি আকসুর পুরো তদন্তটাই ছিলো অত্যন্ত গোপনীয় এবং আমার উপর শাস্তি আরোপিত হওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগে বিসিবিকে আমি এ ব্যাপারে জানাই। দেরিতে জানলেও এমন পরিস্থিতিতে বিসিবিই আমাকে সবচেয়ে বেশি সমর্থন দিয়েছে। তাই, বোর্ডের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ।

যারা এই কঠিন সময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এসেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ। মনে রাখতে হবে, পুরো ব্যাপারটিই একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই সম্পন্ন হচ্ছে। যেহেতু ওই সময়ে আমি আমার দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করতে পারিনি তাই আমিও আমার ওপর আরোপিত শাস্তি মাথা পেতে নিয়েছি।

২০২০ সালে বাংলাদেশের হয়ে আবার মাঠে নামার কথা ছাড়া এই মুহূর্তে আর কিছুই ভাবছিনা আমি। ততদিন পর্যন্ত আপনাদের দোয়া আর প্রার্থনায় আমাকে রাখবেন বলেই আশা করছি। ধন্যবাদ

To all my fans and well wishers, let me start by saying that I have been touched and felt blessed by your unconditional support and affection during what has been a very difficult time for me and my family. In the last few days I have realised more than ever what it means to represent your country.

On that note, I am requesting calm and patience from all my supporters who may have felt aggrieved at the sanction imposed on me.

I wish to make it very clear that the entire investigation by the ICC Anti-Corruption Unit was confidential and the Bangladesh Cricket Board (BCB) only came to know about it from me just a few days before the announcement of the sanction. From that point onwards, the BCB has been most supportive and understanding of my situation and I am grateful for that.

I can understand why many people are offering to help and I really appreciate that. However, there is a process in place and I have accepted my ban because I felt that was the right thing to do.

My entire focus now is on returning to the cricket field and playing for Bangladesh again in 2020. Until then keep me in your prayers and heart. Thank you. #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.