সময়ের সাথে ক্ষীণ হচ্ছে ধংসস্তুপে আটকা পড়াদের বাঁচার আশা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। শুধু তুরস্কেই প্রাণ গেছে প্রায় ১৮ হাজার। যারা বেঁচে গেছেন, তাদের জীবনও হুমকির মুখে। খাদ্য ও পানির অভাবে গৃহহীন মানুষের রাত কাটছে বরফ-ঠাণ্ডা আবহাওয়ায়।
এদিকে ভূমিকম্পের প্রভাবে প্রায় ২০ ফুট পশ্চিমে সরে গেছে তুরস্ক। অন্যদিকে ধ্বংসযজ্ঞের আসল চিত্র এখনও পুরোপুরি সামনে আসেনি বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ার শহরগুলো যেনো মৃত্যুপুরী। বাড়ছে মরদেহের সারি। সময়ের সাথে সাথে ক্ষীণ হচ্ছে ধংসস্তুপের নিচে আটকে পড়াদের বাঁচার আশা।
এখনো অসংখ্য মানুষ ধসেপড়া ভবনগুলোর নিচে আটকে আছে। তাদের জীবিত উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।
বেঁচে যাওয়া স্বজনহারা মানুষের জীবনও এখন শঙ্কায়। হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রায় গৃহহীন হাজারো মানুষের দিন কাটছে খোলা আকাশের নিচে।
সেইসাথে খাবার ও পানির অভাব। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অনেকেই মারা পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।
তবে বেশি খারাপ অবস্থা যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার। ভূমিকম্পকবলিত এলাকাগুলো সরকার ও বিদ্রোহী দুইপক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহায়তা পৌঁছানো নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। জাতিসংঘের ত্রাণ সহায়তার একাংশ পৌছালেও তা পর্যাপ্ত নয়। সরঞ্জামের অভাবে গতি নেই উদ্ধার তৎপরতায়ও।
এদিকে তুরস্কে ধসে পড়া ভবনগুলো নির্মাণের সময় যথাযথ আইন মানা হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন নাগরিকরা। জরিমানা দিয়ে অবৈধ ভবন বৈধ করা হয়েছিলো। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবনগুলো মান বজায় রেখে নির্মিত করা হলে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই কম হতো। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.