সমবায়ের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল ও স্বাবলম্বী হচ্ছেন দূর্যোগকবলিত সুন্দরগঞ্জের নিম্ম আয়ের মানুষেরা

রংপুর প্রতিনিধি: কে না চায় সফলতা। কেউ থাকতে চান না পিছিয়ে। একধাপ এগিয়ে যাওয়ার গল্প কার না ভালো লাগে। এক কথায় সফলতার গল্পটা সৃষ্টির সূচনা থেকেই মানুষ্যকুলকে ঘিরে আবর্তিত।
এমনই একজন সফল তরুণ ডাঃ মোঃ নুরন্নবী সরকার।গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের পরান গ্রামের আর্ত-সামাজিক উন্নয়নে ২০০৬ সালে ডাঃ মোঃ নুরুন্নবী সরকার প্রতিষ্ঠা করেন পূর্ব আশার আলো সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড। শেয়ার, ডিপিএস, সঞ্চয় ও ঋন নিয়ে কাজ শুরু করে সমিতিটি।
সমবায় সমিতিটির নিবন্ধন  নং-৬৩/১৯। শুরু থেকেই এলাবাসীর আস্থার প্রতিক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন সংস্থাটি। ডিপিএসের মেয়াদ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই অনুষ্ঠানিক ভাবে টাকা পরিশোধ করেন।
শেয়ার, ডিপিএস, সঞ্চয় ও ঋণ কার্য়ক্রম পরিচালোনার পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজ করছেন। সমিতি থেকে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে অনেকেই সাবল্মবী হয়েছেন। সংস্থার সদস্যসহ এলাকার গরীব-দুঃখী মানুষের মাঝে প্রতি বছর সেমাই, চিনি, শাড়ী, লুঙ্গি বিতরণ সেই সাথে প্রকৃতি দুর্যোগের সময় চাল-ডাল নগদ টাকা দিয়ে সহযোগীতা করেন।
মহামারী করোনা কালীন সংস্থার সদস্যসহ এলাকার গরীব-দুঃখী মানুষের মাঝে ফ্রি চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি চাল-ডাল নগদ টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেন।
প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডাঃ মোঃ নুরন্নবী সরকার বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান ২০০৬ সালে সমিতির উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা এবং ডিপিএসে ব্যাপক সাড়া পড়ে। সততা, আস্থার প্রতিক হিসাবে সবার মন জয় করে নেয়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হান্নান সরকার বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, পূর্ব আশার আলো সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি ১৫ বছর ধরে সততার সাথে তাদের ঋন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তার সমিতি সমবায় থেকে নিবন্ধিত।
এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, পূর্ব্  আশার আলো সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডে সমবায়ের নিয়মনীতি মেনে স্বল্প সুদে  ক্ষুদ্র ঋন কাযক্রম পরিচালনা করছে।
প্রভাষক আতাউর রহমান আতা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, সংস্থাটি নিবন্ধন নিয়ে ক্ষুদ্র ঋণ কাযক্রম পরিচালনার পাশাপাশি বিভিন্ন  উৎপাদনমুখী পণ্য বাজারজাত করনের মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণ করে  মুনাফা অর্জন সহ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে আসছে।
পূর্ব  আশার আলো সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড সদস্য সৌরভী আক্তার বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, সংস্থাটি থেকে  ঋন নিয়ে ভ্যান গাড়ীর ব্যাটারী কেনেন তার স্বামী। আশা, ব্রাক, গ্রামীণ ব্যাংকের মতোই তাদের ঋন কাযক্রম। সংস্থাটিতে একটি ডিপিএস করেছি ২ বছর হলো। ঋনের টাকায় ভ্যান গাড়ীটি ঠিক করে যা আয় হচ্ছে তা দিয়ে সংসার, ঋন পরিশোধ, ডিপিএসে  টাকা জমাচ্ছি।
বেলকা বাজারের চাল ব্যবসায়ী আসাদ মিয়া বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, সংস্থাটি থেকে ঋন নিয়ে চালের ব্যবসা বড় করেন।ব্যবসা করে ভালোই আয় হচ্ছে।গ্রামীণ ব্যাংকের মতোই তাদের ঋন কাযক্রম।
আরেক সদস্য তাইয়েবা আক্তার বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, সংস্থাটি থেকে ঋন নিয়ে গরু কেনেন।সংস্থাটিতে ১৪ সালে তার ডিপিএস ছিল। কোন অসুবিধা ছাড়াই তিনি টাকা ফেরত পান। 
সমিতিটি নিবন্ধন নিয়ে দুর্যোগ কবলিত নদী ভাঙ্গন এলাকায় নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে   ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি সেবামূলক বিভিন্ন ব্যবসাও পরিচালনা করছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রংপুর প্রতিনিধি এস এম রাফাত হোসেন বাঁধন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.