সব প্রস্তুতি সম্পন্ন, মঙ্গলবার খুলনা সিটির ভোটযুদ্ধ

 

খুলনা ব্যুরো : শেষ হলো টানা ১৯দিনের প্রচারনা। এখন ভোটের অপেক্ষা। মঙ্গলবার(১৫ মে) সকাল থেকে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভোটযুদ্ধ শুরু হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। নির্বাচন কমিশনও ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। রাস্তায় রাস্তায় টহল শুরু করেছে বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, আনসারসহ অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা।

রয়েছে গোয়েন্দা নজরদারিও। মানুষ যাতে নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে স্বাচ্ছন্দে ভোট দিতে পারে সেজন্যই এমন প্রস্তুতি। তার পরেও অনেকের মধ্যে শংকা কাজ করছে। আদৌ ভোট দেয়ার সুষ্ঠু পরিবেশ পাবে কি না তেমন আশংকাও রয়েছে অনেকের মনে।

যেহেতু এই প্রথমবারের মত দলীয় ভিত্তিতে কেসিসির মেয়র পদে নির্বাচন হচ্ছে সে কারনে প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দলই এটিকে নিয়েছে চ্যালেঞ্জ হিসেবে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শেষ পর্যন্ত কোন দলের বিজয় হয় সেটিই এখন দেখার বিষয়।
নির্বাচনী প্রচারনার শেষ দিনটি রোববার প্রার্থীদের জন্য খুব একটা ভাল যায়নি।

সকাল থেকেই বৃষ্টি, দিনভর মেঘলা আবহাওয়ায় কেমন যেন শেষ প্রচারনা জমে উঠতে পারেনি। তার পরেও ঘরে বসে ছিলেন না প্রার্থীরা। গণসংযোগ, পথসভা, নেতাকর্মী-শুভাকাংখীদের সাথে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো ইত্যাদির মাধ্যমে নিজেদেরকে ভোটারদের কাছাকাছি নেয়ার চেষ্টা করেন প্রার্থীরা।

শুধু প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীই নয়, বরং পাঁচ মেয়রপ্রার্থীরই দিনটি কেটেছে মহাব্যস্ততায়। কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো: ইউনুচ আলী বলেন, কমিশন ইতোমধ্যেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। সোমবার সকাল থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট বাক্সসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি পাঠানো হবে।

বিকেল থেকেই প্রিজাইডিং অফিসারগন কেন্দ্রগুলো বুঝে নিয়ে রাতে সেখানে অবস্থান করবেন। একটি সাধাণ কেন্দ্রে ২২ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ(ঝুঁকিপূর্ণ) কেন্দ্রে থাকবেন ২৪ জন পুলিশ ও আনসার সদস্য। এবার ভোট হচ্ছে ২৮৯টি কেন্দ্রে। যার কক্ষসংখ্যা থাকবে ১৫৬১টি এবং অস্থায়ী কক্ষ থাকবে ৫৫টি।

কেএমপির দেয়া তথ্যমতে ২৮৯টির মধ্যে ২৩৪টিই গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। একথা যেমন রিটার্নিং অফিসার মো: ইউনুচ আলী জানিয়েছেন তেমনি এটি নিশ্চিত করেছেন কেএমপির মুখপাত্র সহকারী পুলিশ কমিশনার সোনালী সেন।
সোমবার সকাল থেকেই কেন্দ্রে পাঠানো হবে ব্যালট বাক্সসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি।

নগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে রক্ষিত মালামাল গত দু’দিন ধরে শর্টিং করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টা থেকে প্রিজাইডিং অফিসারদের এসব মালামাল বুঝিয়ে দেবে নির্বাচন কমিশন। বিকেলের মধ্যেই সব মালামাল কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে। পুলিশ ও আনসার সদস্যরাও সোমবার থেকে কেন্দ্রে অবস্থান করবেন। এক কথায় সোমবার রাত থেকেই ২৮৯টি কেন্দ্র চলে যাবে নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.