সব নাগরিককে দেওয়া হবে ডিজিটাল হেলথ কার্ড


কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: আগামী ২৭শে সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে সূচনা হতে চলেছে ‘প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল হেলথ মিশনের’ যার ঘোষণা করেছিলেন ২০২০ সালের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে লাল কেল্লা থেকে।
খোদ প্রধানমন্ত্রীই এই সূচনা করবেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী শ্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। প্রত্যেক নাগরিককে দেওয়া হবে এই ডিজিটাল কার্ড। স্বাস্থ্য সম্বোধনীয় সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য আপলোড থাকবে যাতে চিকিৎসার সময় ডাক্তারদের বুঝে নিতে সুবিধে হয় রোগও রোগী সম্বন্ধে।
আন্দামাণ নিকোবর,দাদরা,নগর-হাভেলি,দমন-দিউ,লাদাক্ষ,লাক্ষাদীপ এবং পুদুচেরির মতো ছ-টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ইতিমধ্যেই পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এই কার্ড চালু হয়েছে এবং সাফল্য দেখেই এবার জাতীয় স্তরে করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর এখনও পর্যন্ত প্রায় ১১লক্ষ ৯০হাজার কার্ড তৈরি হয়েছে। এই মিশনের ডিজিটাল প্লাটফর্মে ৩হাজার ১০৬জন চিকিৎসকের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। ১হাজার ৪৯০রকমের আপাতত রোগের চিকিৎসা পাবেন। এই কার্ড মোতাবেক টেলিকন্সালটেন্সির ও প্রয়োজনীয় জায়গায় গিয়ে এবং ভর্তি হয়ে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে। বয়স্ক ও শিশুদের এমনকি প্রতিবন্ধীদের ও বিশেষ সুবিধে থাকবে বলে জানান হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ‘আয়ুস্মাণ ভারত মিশনের ‘তিন বৎসর পূর্তি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন ২০১৮ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পে ইতিমধ্যেই ২কোটি ২০লক্ষ মানুষ সুবিধে পেয়েছেন।
আয়ুস্মাণ ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোযনার কার্ড থাকায় বিনামুল্যে মানুষ চিকিৎসা পেয়েছেন ও ৫লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় সমেত বিনা পয়সায় অপারেশনের সুযোগ পেয়েছেন। আগামী দিনে গরীব মানুষ যাতে বেশী করে এর আওতায় আসে তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.