সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে গেলে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় : রাসিক মেয়র


প্রেস বিজ্ঞপ্তি: রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে একটি ভিশন সামনে রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে। এটা প্রমাণ করে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে গেলে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়।
আজ সন্ধ্যায় রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল মাঠে দুই দিনব্যাপী (১৫ ও ১৬ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা-২০২২ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাসিক মেয়র বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনের পরে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন সকল কাজ ডিজিটাল করা হবে। এটা বাস্তবায়ন করার জন্য এটুআই কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। তাঁকে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছে। তখন কেউ কেউ বলেছিল এটা সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী কারো কথায় কান না দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। তাঁরই প্রচেষ্টায় আজকে দেশের সব জায়গায় ডিজিটাইজেশন হয়েছে।
দেশের ডিজিটাইজেশনে প্রধানমন্ত্রীর অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, এক সময় মুঠোফোন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে ছিল, কিন্তু এখন মাত্র ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকায় সিমসহ মুঠোফোন পাওয়া যায়। এর ফলে অনেক কাজই এখন আমরা অনলাইনে করতে পারি। কোভিডকালে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে ক্লাশ করতে পেরেছে। এটা হচ্ছে আমাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতি। এই অগ্রগতি আমাদেরকে সামনের দিকে এগিযে নিয়ে যাবে।
ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার গুরুত্ব উল্লেখ করে রাসিক মেয়র বলেন, উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে উদ্ভাবকদের উদ্ভাবনী সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তিবান্ধব নানাবিধ উদ্ভাবনের মাধ্যমে নাগরিক জীবনকে আরও সহজ ও সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে এ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এ ধরনের মেলার মাধ্যমে ভবিষ্যতে বিশ্বে কোথায় কী হতে পারে সে বিষয়ে নতুন প্রজন্ম ধারণা লাভ করতে পারবে বলে এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে মেলায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেরা উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য উদ্ভাবকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আব্দুল খালেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালেহ মো: আশরাফুল বক্তৃতা রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ সেলিম হোসেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, রাজনীতিক, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এবারের মেলায় উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও স্টার্ট আপ (উদ্ভাবক ও শিক্ষার্থী), ডিজিটাল সেবা (সরকারি অফিসসমূহের সেবা), হাতের মুঠোয় সেবা (ডিজিটাল সেন্টারের সেবা যেমন- এজেন্ট ব্যাংকিং একশপ, সরকারি-বেসরকারি ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা ইত্যাদি) এবং শিক্ষা, দক্ষতা, উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান (শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিসিক, কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ইত্যাদির উদ্ভাবনী উদ্যোগ) বিষয়ে চারটি প্যাভিলিয়ন স্থাপন করা হয়। মেলায় চারটি প্যাভিলিয়নে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ তাদের বিভিন্ন উদ্ভাবনী কর্মপরিকল্পনা এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর তাদের ডিজিটাল সেবাসমূহ প্রদর্শন করে।
সংবাদ প্রেরক স্বা/-জনসংযোগ কর্মকর্তা, পিআইডি, রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.