সঙ্গীত বিশারদ নবপর্ণার জয়যাত্রা অব্যাহত 

বিশেষ (ভারত) প্রতিনিধি: – – –  “তুমি কেমন করে গান করো হে গুণী …… আমি অবাক হয়ে শুনি”……
রবি ঠাকুর কে আশ্রয় নিতেই হলো, কারণ আজ যার সম্পর্কে যার জীবনীর ওপর আলোক পাত করবো, তার সম্পর্কে রবি ঠাকুরের গানের এই কলি গুলো বড় প্রাসঙ্গিক।
“নবপর্না জি” (সুপর্ণা), গানের জগতে বিশেষ করে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত জগতে যিনি একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র ধ্রুবতারা। শুধু মাত্র শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ই নয়, বিদেশী ঘরানার সঙ্গীত, নজরুল গীতি, এবং অন্যান্য সঙ্গীতেও তিনি সমান পারদর্শী, তার অবাধ বিচরণ।         
এবার তার উজ্জ্বল বর্ণময় সঙ্গীত জীবনের ওপর এক নজর দেখে নেওয়া যাক, যেখানে তিনি অনায়াসে পার করেছেন একের পর এক মাইল ফলক, তার সঙ্গীতের মুকুটে যুক্ত হয়েছে অগণিত সাফল্যের পালক।
তার সঙ্গীত চর্চার শুরু মাত্র চার বছর বয়সে তার মায়ের কাছে যিনি ছিলেন লখনৌ ঘরানার সঙ্গীতে বিশেষ পারদর্শী,সেই অর্থে মা -ই ছিলেন তার প্রথম সঙ্গীত গুরু, সেই পথ চলা শুরু, আর থামেন নি, পেছন ফিরে তাকাতে হয় নি।
তারপর তিনি “বিষ্ণুপুর ঘরানার” (টিটিলেজ) উত্তর ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিখেছেন শ্রী নীহাররঞ্জন ব্যানার্জীর কাছে। “আগ্রা ঘরানার” সঙ্গীত শিখেছেন পণ্ডিত ড: অরুণ কাশালকার জির সন্নিন্ধে। বিদুষী শ্রীমতী শিপ্রা বসু, শ্রী বিমান মুখোপাধ্যায় এর কাছে তালিম নিয়েছেন, তারপর আঙ্গুরবালা দেবীর শিষ্য এর কাছে তিনি শিখেছেন নজরুল গীতি।     
“সাহা (এস . আর. এ. কোল) লাইট মিউজিক বিভাগে “চার্লটান কিত্তো” এর শিষ্যের কাছ থেকে সঙ্গীত শেখেন, বিশিষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক শ্রী কল্যাণ সেন বরাট এর কাছেও সঙ্গীত শিক্ষা করেছেন, আবার তিনি প্রয়াত শ্রী সুকুমার মিত্র এর মত অনেক বিখ্যাত মিউজিক্যাল এক্সপণেন্টের অধীনে প্রচুর মিউজিক্যাল ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করেছেন। শ্রী অমর পাল, শ্রী সুশীল চট্টোপাধ্যায়, শ্রীমতী ডালিয়া রাউত, শ্রীমতী মায়া সেন সেই তালিকায় রয়েছেন।
তিনি এখন “বিদেশী সঙ্গীত (গসপেল) এর শেশনে রয়েছেন। তার আরও একটি পরিচয় আছে তিনি একজন মাননীয় রেডিও (এ. আই. আর) শিল্পী।
এ ছাড়াও তিনি ভারতীয় সঙ্গীত জগতের দিগপাল বিশিষ্ঠ শিল্পী দের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের টি. ভি ও পাবলিক পারফরমেন্স করেছেন, যার মধ্যে রয়েছেন “পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া জি, শ্রীমতী বেগম পারভিন সুলতানা জি, শ্রীমতী জয়া বিশ্বাস, শ্রীমতী শিপ্রা বসু প্রমুখ।         
“কলকাতা রাজ ভবনেও” (গভর্নর হাউজ) তার অনুষ্ঠান করার কৃতিত্ব রয়েছে। অসাধারণ একজন শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে তিনি “আচিভার্স আওয়ার্ড” (কলাকার ফাউন্ডেশন, দিল্লী) এর মত সন্মান লাভ করেছেন। এই সন্মান তার মত শিল্পী কেই সাজে।
সমান ভাবে তিনি ভারতীয় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্কদের  উত্তর ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম দিয়ে চলেছেন।
সম্প্রতি তিনি সঙ্গীত অনুরাগীদের জন্য ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সম্পর্কে তার বই  “রাগ বিচিত্রা” প্রকাশ করেছেন।             
তিনি তার ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে পুরো বিশ্ব কে এক সূত্রে মিলিয়েছেন বলা যায়, তিনি সুরের আকাশে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, তার সঙ্গীত, তার কন্ঠ দূর দিগন্তে প্রসারিত, যা সীমানার কাটা তার মানে না, তার সুমধুর কণ্ঠস্বর শুধু মাধুর্য্য ছড়াতে পারে।
বিটিসি নিউজের পক্ষ থেকে এই দিকপাল সঙ্গীতজ্ঞের জন্য অবুন্ঠ শুভেচ্ছা ৷
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (ভারত) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। # 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.