সংসদ নির্বাচনের মূল বাজেট ৭০০ কোটি টাকা

ঢাকা প্রতিনিধি: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের নিয়ে আগামী ১৩ ডিসেম্বর বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।   এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনের জন্য নথি উপস্থাপন করা হয়েছে। কমিশন অনুমোদন দিলে সংশ্লিষ্টদের বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য চিঠি পাঠানো হবে বলে ইসি সচিবালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, এবার নির্বাচনে মূল বাজেট ধরা হয়েছে ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে নির্বাচন পরিচালনায় ৩০০ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।

এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বাজেট বরাদ্দের নিয়ে প্রাক-বৈঠকে করে কমিশন। বৈঠকে আগের নির্বাচন, কত সংখ্যক ও কতদিনের জন্য সদস্যদের নিয়োগ করা হবে এসব বিষয় মাথায় রেখে বাজেট নির্ধারণের জন্য নির্দেশনা দেয় কমিশন।

সূত্রে জানা যায়, মূল নির্বাচনি বাজেট ৭০০ কোটি টাকা হলেও এখন পর্যন্ত তিন বাহিনীই চেয়েছে এর ৫১২ কোটি টাকা । এর মধ্যে ইসির কাছে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ ও র‌্যাব ২২৪ কোটি, বিজিবি ৫৮ কোটি ও আনসার ২৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে। তবে স্বশস্ত্র বাহিনী ও কোস্ট গার্ড এখন পর্যন্ত ইসির কাছে কোনো চাহিদা পাঠায়নি।

বৈঠক শেষে হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বাজেট সংক্রান্ত আলোচনা করেছি। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলেছি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাজেট দাখিল করতে। আমরা আনসার বাহিনীকে অগ্রিম শত ভাগ টাকা বরাদ্দ দেব। অন্যান্য বাহিনীগুলোকে আমরা অগ্রিম ৫০ ভাগ বরাদ্দ দেব। এ বছর আমরা নতুন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে যাচ্ছি। সেটি হলো এ বছর গ্রাম পুলিশকে নির্বাচনি কাজে ব্যবহার করব।

এ বিষয়ে ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার কোন বাহিনী কতদিন ও তাদের কতজন সদস্য নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন তা নির্ধারণ হবে ১৩ ডিসেম্বর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ইসির সভায়। তার আগে গত নির্বাচনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাজেট তৈরির জন্য বলেছে ইসি।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, পঞ্চম জাতীয় সংসদে আইনশৃঙ্খলা খাতে বরাদ্দ ছিল ১৭ কোটি টাকা, ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদে ২৯ কোটি, সপ্তম সংসদে ১৮ কোটি, অষ্টম সংসদে ৪২ কোটি, নবম জাতীয় সংসদে ৯৮ কোটি ও দশম সংসদে ১৮৩ কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, তফসিল অনুযায়ী, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৩০ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ হবে ১০ ডিসেম্বর।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.