সংসদে বিরোধীদের সহযোগিতা চাইলেন নরেন্দ্র মোদী

(সংসদে বিরোধীদের সহযোগিতা চাইলেন নরেন্দ্র মোদী)
কলকাতা-হাওড়া (ভারত) প্রতিনিধি: সংসদের বাদল অধিবেশকে সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিরোধী দলগুলোর সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামিকাল সোমবার (১৯ জুলাই) শুরু হচ্ছে অধিবেশন।
সেই দিকে তাকিয়েই আজ রবিবার (১৮ জুলাই) দিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে দ্বিধাহীনভাবেই তিনি আশ্বাস দেন, প্রতিটি বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেই পা ফেলবে সরকার। গুরুত্ব দেওয়া হবে সব দলের মতামত এবং পরামর্শকে। তবে বিরোধীদের প্রতি তাঁর অনুরোধ, অযথা সমস্যা তৈরি করে সভার গতি  এবং কাজ ব্যাহত করবেন না।
বাদল অধিবেশনের আলোচ্যসূচির ব্যাপারে মোটামুটি একটা ধারণা দেওয়া হয় সর্বদলীয় বৈঠকে। বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েকটা বিল আসার কথা আছে এবারে। আসতে পারে ৫টা অর্ডিন্যান্সও। সব মিলিয়ে আলোচনায় উঠে আসতে পারে মোট ২৯টা বিষয়। এর মধ্যে থাকার প্রবল সম্ভাবনা নয়া কৃষি আইন এবং পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা। প্রত্যাশিতভাবে উঠতে পারে করোনা প্রসঙ্গও।
প্রধানমন্ত্রীর ডাকা রবিবারের সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নেন রাজনাথ সিং, পীযূষ গোয়েলের মতো শাসক পক্ষের হেভিওয়েট নেতামন্ত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশিও। কংগ্রেসের প্রতিনিধি ছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে। তৃণমূলের পক্ষে ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধায় এবং ডেরেক ও ব্রায়েন। শিবসেনা, ডিএমকে, ওয়াই এস আর কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলের প্রতিনিধিরাও ছিলেন এই বৈঠকে।
এদিকে বাদল অধিবেশনে শাসক বিজেপিকে কোনঠাসা করতে কোমর  বেঁধে নামছে কংগ্রেস। কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে বা বাদ দিয়ে বিজেপি বিরোধী যে জোটেরই প্রচেষ্টা চলুক না কেন, এটা সকলেরই জানা যে কংগ্রেসের নেতৃত্ব ছাড়া বিজেপিকে চাপে ফেলা কার্যত অসম্ভব। তাই দলের শীর্ষনেত্রী সোনিয়া গান্ধী ঘুঁটি সাজাচ্ছেন বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই। দলের সংসদীয় কমিটিতে ভারসাম্য এনেছেন তরুণ এবং প্রবীণদের মধ্যে।
লোকসভা এবং বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে দলের বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে যে সব নেতা সংস্কারের দাবি জানিয়ে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন এবং চিঠি দিয়েছিলেন হাইকম্যান্ডকে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই জায়গা পেয়েছেন সংসদীয় কমিটিতে। পি চিদাম্বরম, অম্বিকা সোনি, মণীশ তিওয়ারি,দিগ্বিজয় সিং তো বটেই, কমিটিতে সাদরে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে অধীর রঞ্জন চৌধুরী, শশী থারুরের মতো নেতাকেও। সোনিয়া গান্ধীর আশা, সংসদীয় কমিটি ঢেলে সাজানোর ফলে লোকসভা এবং রাজ্যসভা- সংসদের উভয় কক্ষেই রীতিমতো লড়াকু মেজাজে দেখা যাবে  কংগ্রেসকে। প্রভাবও বাড়বে অনেকটাই।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা-হাওড়া (ভারত) প্রতিনিধি সৌম্য সিংহ। # 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.