সংলাপে চার দাবি ঐক্যফ্রন্টের

 

ঢাকা প্রতিনিধিআজ বুধবার বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগ ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের মধ্যে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনের ব্যাংকোয়েট হলে শুরু হওয়া এই সংলাপ শেষ হয়।

সংলাপে দুই পক্ষেই ১১ জন করে অংশ নিয়েছিলেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিতীয় দফার এ সংলাপে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ চার দফা দাবি উত্থাপন করেছে ড. কামালের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। অন্য দাবিগুলো হলো- সংসদ ভেঙে দেয়া, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং ১০ সদস্যের নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার। গণভবনের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে সকাল পৌনে ১০টায় ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসা থেকে বের হন ড. কামাল হোসেনসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল। পরে সাড়ে ১০টায় তারা গণভবনে পৌঁছান।

উল্লেখ্য, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) গণভবনে প্রথম দফায় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। ঐক্যফ্রন্টের ২০ জনের প্রতিনিধি দল ৭ দফা দাবি নিয়ে সংলাপে অংশ নেয়। আর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।

প্রথম দফা সংলাপের পর সরকারি দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা ঐক্যফ্রন্টের কয়েকটি দফা প্রায় মেনে নিয়েছেন। বাকিগুলো আদালত ও নির্বাচন কমিশনের বিষয়, সেখানে সরকারের কিছুই করার নেই। কিন্তু ঐক্যফ্রন্ট শুরু থেকেই বলে আসছে, সংলাপ থেকে কোনো সমাধান আসেনি।

বৈঠকে আশানুরুপ সমাধান না পাওয়ায় ফের সংলাপ চেয়ে রোববার (০৪ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেন ড. কামাল হোসেন। চিঠিতে ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফার সাংবিধানিক ও আইনগত দিক বিশ্লেষণের জন্য উভয় পক্ষের বিশেষজ্ঞসহ সীমিত পরিসরে আলোচনা করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়।

ড. কামালের চিঠি পেয়ে ওদিন রাতেই সংলাপে বসার ব্যাপারে ক্ষমতাসীনরা ইতিবাচক জবাব দেন। বুধবার সকালে সংলাপে বসার সময় দেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে, দ্বিতীয় দফা সংলাপের আগে মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা নানা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তারা বলেছেন, দ্বিতীয় দফা সংলাপ ব্যর্থ হলে রাজপথে নামতে বাধ্য হবেন।

এমনকি সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি হিসেবে ৮ নভেম্বর রাজশাহী অভিমুখে রোড মার্চ করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। এছাড়া নির্বাচন কমিশন তফসিল না পেছালে ইসি অভিমুখে পদযাত্রা করারও ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে এর আগেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জোর করে কিছু আদায় করা যাবে না। যা হবে সংবিধানের মধ্য থেকেই।

প্রসঙ্গত, গত ১ নভেম্বর রাজনৈতিক জোট ও বিভিন্ন দলের সঙ্গে শুরু হওয়া সংলাপ শেষ হচ্ছে আজ। এ নিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (০৮ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.