সংঘাতে অগ্নিগর্ভ মনিপুর, অন্য রাজ্যের মানুষদের সরিয়ে নিচ্ছে সরকার

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গোষ্ঠীগত সংঘাতে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে ভারতের মনিপুর রাজ্য। ভয়াবহ পরিস্থিতি বিবেচনায় জরুরি ভিত্তিতে বিশেষ ফ্লাইটে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে অন্য রাজ্যের বাসিন্দাদের। মনিপুর প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিকের আশ্বাস দেয়া হলেও রাজ্য সরকারগুলোর এ তৎপরতা সংঘাত আরও বাড়ার ইঙ্গিত কিনা তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
৩২ লাখ জনসংখ্যার রাজ্য মনিপুর। পড়াশুনা এবং পেশাগত কারণে অন্য রাজ্যের আরও অন্তত তিন লাখ মানুষের অবস্থান ছিল সেখানে। আকস্মিক সংঘাত শুরুর পর যান চলাচল, মোবাইল নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে রাতারাতি বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয় মনিপুর।
নাগরিকদের সুরক্ষার কথা বিবেচনায় এবার তৎপর হয়েছে রাজ্য প্রশাসন। বিশেষ ফ্লাইটে ফিরিয়ে নিচ্ছে নিজ নিজ বাসিন্দাদের। এরইমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, সিকিম, অন্ধ্র, তেলেঙ্গানা, দিল্লি, মহারাষ্ট্র সরকার শিক্ষার্থী এবং পেশাজীবীদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে।
চারিদিকে গুলি আর বোমার শব্দ, জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে হাজারো ঘরবাড়ি। সহিংস এমন পরিস্থিতির মধ্যেই কেটেছে গত কয়েক দিন। চোখে মুখে এখনও আতঙ্ক স্পষ্ট, মণিপুর থেকে উদ্ধার হওয়া অন্য রাজ্যের মানুষের।
তারা জানান, মণিপুর এখনও পুরোপুরি শান্ত না। যেকোনো সময়, যেকোনো কিছু হতে পারে। আমরা সুস্থভাবে পরিবারের কাছে ফিরতে পেরেছি। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
মণিপুর রাজ্য সরকার পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি করলেও তাতে আশ্বস্ত নন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বিজেপি শাসিত রাজ্যটির চলমান সংঘাত নিয়ে উদ্বিগ্ন তিনি। হতাহতের আসল সংখ্যাও প্রকাশের দাবি মমতার। একই সাথে আটকে পড়াদের উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রাখার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
বড় ধরনের সংঘাতের পুনরাবৃত্তি রুখতে রাজ্যের নানা প্রান্তে মোতায়েন করা হচ্ছে সেনা। দাঙ্গায় সম্পৃক্ত অপরাধীদের ধরতেও চলছে অভিযানের পরিকল্পনা। তবে মণিপুরে পরিস্থিতি আসলে কোনদিকে গড়াবে- তা নিয়ে এখনও রয়েছে শঙ্কা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.