শ্রীলঙ্কাকে ১৮৬ রানের চ্যালেঞ্জ দিল বাংলাদেশ

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: এশিয়া কাপে নিজেদের বাঁচা মরার লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে মিরাজ-সাকিরের ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত সূচনাই করেছে টাইগাররা। আজ ৬ ওভারে তারা তুলেছে ৫৫ রান। এই দুজনের বিদায়ে চাপে পড়লেও আফিফ-রিয়াদের ব্যাটে বড় লক্ষ্যেই ছুটছে বাংলাদেশ।
দুবাইয়ে এদিন প্রথম ওভারের প্রথম বলেই লেগ বাই সূত্রে ও শেষ বলে সাব্বিরের স্কুপে পাওয়া দুই চারে মোট ১১ রান তোলে বাংলাদেশ। যদিও থিকশানার পরের ওভারে মাত্র ৩টি রান নিতে পারেন সাব্বির ও মিরাজ। অর্থাৎ দুই ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১৪ রান।
তবে অভিষিক্ত আসিথা ফার্নান্ডোর করা তৃতীয় ওভারেই উইকেটে পতন ঘটে বাংলাদেশ দলের। ফার্নান্ডোর ট্রেড মার্ক বাউন্সারেই পরাস্ত হন সাব্বির। শেষ হয় তার এক বাউন্ডারিতে করা ৬ বলে পাঁচ রানের ইনিংসটি। ফলে আবারো ব্যর্থতার পরিচয় দিল টাইগার ওপেনিং জুটি।
অর্থাৎ দলীয় ১৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর মিরাজ ঝড়ে এই প্রথমবার পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ৫৫ রান তুলতে পারে টাইগাররা। তবে সপ্তম ওভারেই থেমে যাই সেই মিরাজ-ঝড়। ক্যারিয়ার সেরা ৩৮ রান করে আউট হন এই ব্যাটার। তার ২৬ বলের এই ইনিংসে ছিল সমান ২টি করে চার ও ছক্কার মার।
ফলে ৫৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট পতন ঘটল বাংলাদেশের। এরপর মুশফিক মাত্র ৪ রান করে এবং দলের কাণ্ডারি সাকিব ২৪ রান করে আউট হলে ভালো শুরুর পরেও যথাক্রমে ৬৩ ও ৮৭ রানে তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট হারিয়ে সেই চাপে পড়ে দল। সাকিবের ২২ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি চারের মার।
তবে এরপর সিনিয়র ক্যাম্পেইনার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলের স্কোরকে বড় লক্ষ্যেই নিয়ে যাচ্ছিলেন সহ-অধিনায়ক আফিফ হোসাইন। তবে মধুশঙ্কা ও হাসারাঙ্গার জোড়া আঘাতে চার বলের ব্যবধানে ফিরতে হয় দুজনকেই। তার আগেই অবশ্য ৩৭ বলে ইনিংসের সর্বোচ্চ জুটিটি গড়ে নিজেদের নামের পাশে লেখান দুজনে।
আফিফ ২২ বলে দুটি ছক্কা ও চারটি চারের সাহায্যে ৩৯ রানে এবং রিয়াদ ২২ বলে একটি চার-ছক্কায় ২৭ রানে আউট হন। তবে মোসাদ্দেক এসে তাদের সেই ধারা বজায় রাখেন দুটি চার মেরে। এরপর অবশ্য ক্রিজে এসে লেগ বিফোরে ফিরতে হয় মাহেদীকে। ফলে ১৫৯ রানের মাথায় ৭ম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
তবে মোসাদ্দেকের ক্যামিও ও তাসকিনের ছক্কায় শেষ পর্যন্ত ওই ৭ উইকেটেই ১৮৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। ফলে জিততে হলে দাসুন শানাকার দলকে করতে হবে ১৮৪ রান।
মোসাদ্দেক হোসাইন মাত্র ৯ বল খেলে অপরাজিত থাকেন ২৪ রানে। তার এই ক্যামিওতে ছিল চারটি দর্শনীয় চারের মার। আর তাসকিন অপরাজিত থাকেন ৬ বলে ১১ রান নিয়ে। তার এই ইনিংসে ছিল একটি ছয়ের মার।
দুবাইয়ে আজকের এই ম্যাচে যারাই জিতবে, তারাই যাবে সুপার ফোরে- এমন সমীকরণের ম্যাচে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দাসুন শানাকা।
এদিকে, আজ একাদশে তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে সাকিবের দল। বাদ পড়েছেন দুই ওপেনারসহ অলরাউণ্ডার সাইফুদ্দিন।
বাংলাদেশ দল : সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক) এনামুল হক বিজয়, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, ইবাদত হোসেন, পারভেজ ইমন, মোহাম্মদ নাঈম ও তাসকিন আহমেদ।
শ্রীলঙ্কা দল : দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), দীনেশ চান্দিমাল, দানুশকা গুনাথিলাকা, পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক), চারিথ আসালঙ্কা, ভানুকা রাজাপাকসে, আসিন বান্দারা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মাহেশ থিকশানা, জেফ্রি ভান্দারসে, প্রভীন জয়াবিক্রমা, চামিকা করুনারত্নে, দিলশান মধুশঙ্কা, মাথেশ পাথিরানা, নুয়ান্দু ফার্নান্দো, আসিথা ফার্নান্দো, প্রমোদ মধুশান ও নুয়ান থুসারা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.