শ্মশানে সিরিয়াল না পেয়ে………………….

(শ্মশানে সিরিয়াল না পেয়ে………………….ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুতে প্রতিদিনই রেকর্ড হচ্ছে ভারতে। ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই ভেঙে যাচ্ছে আগের রেকর্ড। অপর্যাপ্ত জরুরি পরিষেবা আরও বেশি মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মনে করছে দেশটির সাধারণ মানুষ।
আনন্দবাজার পত্রিকার এক খবরে বলা হয়, কমপক্ষে ২০ ঘণ্টা কেটে যাচ্ছে লাশ চিতায় তুলতে। শ্মশানে শ্মশানে ঘুরে সিরিয়াল না পেয়ে স্রেফ বরফ চাপা দিয়ে ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় বাড়িতে লাশ রাখতে হচ্ছে। কুকুরের দেহ পোঁতার জায়গা ব্যবহার করা হচ্ছে মানুষকে দাহ করার জন্য। সৎকারের জন্য রাখা সারি সারি লাশে কুকুরকেও হামলা চালাতে দেখা গেছে।

ভারতের রাজধানী দিল্লির সুভাষনগরের শ্মশানে করোনায় মৃত বাবার মরদেহ নিয়ে গিয়েছিলেন বছর চল্লিশের মনমিত সিংহ। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, অ্যাম্বুলেন্স, গাড়ির ভিড় কাটিয়ে শ্মশানে ঢুকতে যাবেন, তার আগেই রাস্তা আটকালেন এক কর্মী। তিনি জানিয়ে দিলেন, আর দেহ নেওয়া যাবে না। কারণ দাহ করার জায়গা এবং কাঠ নেই। আর সিএনজি চুল্লিতে একসঙ্গে দু’টির বেশি দেহ করা যায় না। তাতেও এক একটি দেহের পিছনে কমপক্ষে ৯০ মিনিট সময় লাগবে। ইতোমধ্যেই লাইনে ২৪টি দেহ রয়েছে। তাই অন্য কোথাও যেতে হবে তাকে। এর পর পশ্চিম বিহার এলাকার একটি শ্মশানে গিয়ে বাবাকে দাহ করেন তিনি।

মনমিত বলেন, ‘সরকার হাসপাতালে অক্সিজেন দিতে পারছে না। অন্তত শ্মশানে জায়গা তো দিক, যাতে পৃথিবী থেকে বিদায়টা ঠিকমতো হয়!’

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, গতকাল বুধবার (২৮ এপ্রিল) ভারতে ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৪৫৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৩ হাজার ৬৪৭ জন। ভারতে করোনার ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড।

আগের দিন, গত মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) ৩ লাখ ৬২ হাজার ৯০২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল এবং মৃত্যু হয়েছিল ৩ হাজার ২৮৫ জনের। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.