শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে জয় হাতছাড়া আর্জেন্টিনার

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বকাপ বাচাইপর্ব ম্যাচে ইকুয়েডরের মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা। ইকুয়েডরের ঘরের মাঠে এগিয়ে ছিল লিওনেল মেসিরা। যখনই মনে হচ্ছিল জুলিয়ন আলভারেজের করা গোলেই নির্ধারণ হবে ম্যাচের ভাগ্য, তখন যোগ করা সময়ের ৩ মিনিটে গোল হজম করে বসে আর্জেন্টিনা।
এতে ১-১ ব্যবধানে ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভগি করে মাঠ ছাড়তে হয় মেসিদের।
এস্তাদিও মনুমেন্টালে ছন্দময় ফুটবল খেলতে পারেনি আর্জেন্টিনা। খুব বেশি সুযোগও তৈরি করতে পারেনি দলটি। যার খেসারত দিতে হলো শেষ মুহুর্তে গোল হজম করে। যদিও ড্র করে রেকর্ড বইতে সমৃদ্ধ হয়েছে আর্জেন্টিনার নাম।
বলিভিয়ার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে নিজেদের টানা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড ছুঁয়েছে তারা। আর আগে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ সালের মধ্যে টানা ৩১ ম্যাচে অপরাজিত ছিল আর্জেন্টিনা, যা দলটির ইতিহাসে টানা সর্বোচ্চ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড। এবার সে রেকর্ডে ভাগ বসাল স্কালোনির আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের ২৪তম মিনিটে প্রথম সুযোগ তৈরি করেই আর্জেন্টিনার গোল। বক্সের বাম পাশ থেকে সতীর্থের বাড়ানো পাসে প্রথম দফায় বল-পায়ে সংযুক্তি করতে না পারলেও দ্বিতীয় দফায় দারুণ দক্ষতায় লক্ষ্যভেদ করেন জুলিয়ান আলভারেস।
খেলার ৪১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল সফরকারীরা। তবে রদ্রিগো ডি পলের ক্রসে বল দূরের পোস্টে পেয়ে কাছ থেকে গোলরক্ষক বরাবর হেড করেন নিকোলাস ওটামেন্দি। ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি একুয়েডরের পেরভিস এস্তুপিনান।
এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নিজেদের খেলার গতি কিছুটা কমিয়ে দেয় আলবেসেলেস্তারা। উপরে উঠে আক্রমণে মনোযোগী হয় একুয়েডর। ৬২তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে তাদের ফরোয়ার্ড আনহেল মেনার বুলেট গতির শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। খানিক পর দুই দলের খেলোয়াড়রা বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। দুই দলের দুই খেলোয়াড় ওতামেন্দি ও এস্ত্রাদাকে হলুদ কার্ড দেখাব রেফারি। কার্ড দেখেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কোলানিও।
নির্ধারিত ৯০ মিনিট ০-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা আর্জেন্টিনার জয় যেখানে নিশ্চিত মনে হচ্ছিল, তখনই নাটকীয়তার জন্ম দেয় ইকুয়েডর। যোগ করা সময়ের ৩ মিনিটের মাথায় ভিএআর চেকে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। ফরোয়ার্ড ভালেন্সিয়ার স্পট কিক ঝাঁপিয়ে ফিরিয়ে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক জেরোনিমো রুলি, কিন্তু বল হাতে রাখতে পারেননি, আলগা বল পেয়ে ফিরতি শটে লক্ষ্যভেদ করেন ভালেন্সিয়া। এতে ১-১ শেষ হয় ম্যাচটি।
এই ড্রয়ের ফলে ১৭ ম্যাচে ১১ জয় ও ৬ ড্রয়ে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে স্কালোনির দল আছে দুই নম্বরে। সমান ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ব্রাজিল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.