শেষ মুহূর্তের গোলে জিতল মেসির পিএসজি

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: পিএসজি বনাম অলিম্পিক লিঁওর মধ্যকার ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট পর্যন্ত স্কোরলাইন ১-১ গোলে সমতায় ছিল। একেবারে অন্তিম সময়ে গিয়ে পিএসজিকে জয় এনে দেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার মাওরো ইকার্দি। ইকার্দির গোলের আগে দুটি গোলই এসেছিল ব্রাজিলিয়ান দুই ফুটবলার নেইমার জুনিয়র ও লুকাস পাকুয়েতার পা থেকে।
লিঁওর বিপক্ষে পরিসংখ্যানও ছিল মেসিদের পক্ষেই। তাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ক্লাব ব্রুগের বিপক্ষে ড্রয়ের হতাশা এ ম্যাচ জিতে কাটানোর ইচ্ছা ছিল ফরাসি ক্লাবটির। পিএসজি কোচ মৌরিসিও পচেত্তিনো বলেছিলেন, আগের ম্যাচে আমাদের রক্ষণভাগে দুর্বলতা ছিল। তাই আমরা হেরেছি। এর মানে এই না যে, ভবিষ্যতেও এমনটা হবে। আমরা সামনের ম্যাচগুলোতে ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াব বলে আমার বিশ্বাস। রামোসসহ বেশ কিছু ইনজুরি তো ছিলই।
পার্ক দেস প্রিন্সেসে লিঁওর বিপক্ষে প্রথমবারের মতো পিএসজির একাদশে জায়গা পান লিওনেল মেসি। লিগে এর আগে রেইমসের বিপক্ষে অভিষেকে বদলি হিসেবে খেলানো হয়েছিল তাকে। এটি আবার নেইমার-এমবাপ্পের সঙ্গী হিসেবে তার ফরাসি লিগেও প্রথম কোনো ম্যাচ ছিল। তবে এই ম্যাচটিও রাঙাতে পারেননি সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। অবশ্য ৩৬তম মিনিটে তার ফ্রি কিক লিঁওর বারপোস্টে লেগে ফিরে না আসলে পিএসজির হয়ে প্রথম গোলটি পেয়েই যেতেন মেসি।
গোলশূন্য বিরতির ৯ মিনিট পর প্রথম গোলের মুখ দেখে ম্যাচ, এ সময় দোন্নারুমাকে ফাঁকি দিয়ে বা পায়ের শটে বল জালে পাঠান লিঁওর ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার লুকাস পাকুয়েতা। তাতে পিএসজির মাঠে উল্লাসে মাতে লিঁওর ফুটবলাররা। তবে সেই রেশ ১২ মিনিট পর আর থাকেনি। 
ফাউলের সূত্র ধরে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। সেখান থেকে ফাউলের শিকার হওয়া নেইমারই গোল এনে দেন পিএসজিকে। লিঁও গোলরক্ষককে বামে পাঠিয়ে ডান দিকে বল জালে পাঠান তিনি। তার দশ মিনিট পর মেসিকে উঠিয়ে পিএসজি কোচ পচেত্তিনো আশরাফ হাকিমিকে নামান।
৮২তম মিনিটে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার বদলি হিসেবে খেলতে নামেন ইকার্দি। তার প্রায় দশ মিনিট পর পিএসজিকে জয়সূচক গোলটি এনে দেন তিনি। তাতে ছয় ম্যাচের সবকটিতে জিতে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে পিএসজি এখন পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। লিঁও ছয় ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে আছে টেবিলের নবম স্থানে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.