শুল্কমুক্ত কাপড় খোলাবাজারে বিক্রি, ৩ কোটি টাকার কাপড়সহ গ্রেপ্তার-১১

ঢাকা প্রতিনিধি: বন্ড সুবিধায় বিনা শুল্কে আমদানি করা কাপড়ের চালান রাস্তা থেকেই গায়েব। কাপড় কারখানায় না ঢুকে চলে যাচ্ছে রাজধানীর ইসলামপুরসহ বিভিন্ন পাইকারি ও খোলা বাজারে।
প্রায় ৩ কোটি টাকার কাপড়সহ রাজধানী থেকে চক্রের ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত কাপড় বন্ড সুবিধায় বিনা শুল্কে আমদানি করা হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে। বন্ডের অপব্যবহার করে শুল্কমুক্ত কাপড় খোলাবাজারে বিক্রির অভিযোগ বেশ পুরানো। এ কারণে দেশের প্রকৃত ব্যবসায়ী ও শিল্প প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
অসাধু এই চক্রটি বন্ড সুবিধায় বিদেশ থেকে শুল্কমুক্ত কাপড় আমদানি করে অতিরিক্ত লাভের উদ্দেশে চোরাইপথে খোলাবাজারে বিক্রি করত। রাজধানীর ইসলামপুর কেন্দ্রিক একটি বড় সিন্ডিকেটেরও সন্ধান পেয়েছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার (৩১ জুলাই) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।
তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) থেকে ধারাবাহিক অভিযানে রাজধানীর নিউমার্কেট থানার এলিফ্যান্ট রোড ও তেজগাঁও থানার সাতরাস্তা মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে কাপড় বহনের কাজে ব্যবহৃত ৬টি কার্ভাড ভ্যানসহ জব্দ করা হয় প্রায় তিন কোটি টাকার কাপড়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে চক্রের ১১ জনকে।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজত থেকে বন্ড সুবিধায় আমদানি করা ৫০৮ রোল চোরাই পর্দার কাপড় (যার ওজন ১৮ হাজার ৭৫০ কেজি) উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
গ্রেপ্তাররা হলেন: মো. শাহাদাত হোসেন, মো. সাইফুল ইসলাম জীবন, মো. রুবেল আকন, মো. মাসুম, মো. মনির হোসেন, মো. রবিন ওরফে হৃদয় সরদার, মো. শাহিন হাওলাদার, মো. আরিফ হোসেন, মো. সোহাগ ফরাজী, মো. নাজিম ও মো. কামাল হোসেন।
ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইসলামপুরকেন্দ্রিক একটি বড় সিন্ডিকেটের সন্ধান পেয়েছি। এই কাপড়গুলো খোলা বাজারে বিক্রির জন্যই আনা হয়।
পুলিশ বলছে, আড়াই থেকে তিনহাজার পোশাক কারখানা বন্ড সুবিধায় কাপড় কেনার সুযোগ পায়। বিনা শুল্কে আমদানি করার কারণে এবং খোলাবাজারে এসব কাপড় বিক্রি করায় প্রতিবছর সরকার ৮০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। একইভাবে এর সঙ্গে জড়িত স্পিনিং, ডাইং কারখানাগুলোও হুমকির মুখে পড়ছে।
এই সিন্ডিকেটে জড়িত অন্য সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাকা প্রতিনিধি মোমাসুদ রানা খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.