শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী হত্যাকাণ্ডে প্রতিশোধ নিতে মরিয়া তেহরান

(শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী হত্যাকাণ্ডে প্রতিশোধ নিতে মরিয়া তেহরান–ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মহসেন ফখরিজাদেহর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তেহরান। মহসেনের হত্যাকারী এবং হত্যার নির্দেশদাতাকে সর্বোচ্চ শাস্তির ঘোষণা দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
গত শুক্রবার তেহরান থেকে ৭০ কিলোমিটার পূর্বে আবসার্দ নামে একটি শহরে হামলার শিকার হন মহসেন ফখরিজাদেহ। এ সময় তার গাড়িতে প্রথমে বোমা হামলা, এরপর মেশিনগান দিয়ে গুলি করা হয়। এ ঘটনায় ইরান ইসরায়েলকে সরাসরি দোষারূপ করছে। যদিও ইসরায়েল এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিও এ হত্যাকাণ্ডের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছেন। গত শনিবার রুহানি বলেন, ইরানের তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার হবে ফখরিজাদেহকে হত্যাকারী এবং যারা এই নির্দেশ দিয়েছিল- তাদের চূড়ান্ত সাজা দেওয়া। রুহানি আরও বলেন, মহসেন হত্যাকাণ্ডে ইসরায়েলই দায়ী। তবে এ ঘটনায় তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি থেমে যাবে না।
তবে রুহানি বলেন, হঠকারী কোনো কিছু করা হবে না। প্রতিশোধ নেওয়ার সময়টা ইরান নিজেই বেছে নেবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, ইরানের মাটিতে আক্রমণ চালিয়ে এত গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তিকে হত্যা করে দেশটির শত্রুরা এক বিরাট এবং অপমানজনক আঘাত হেনেছে। শুক্রবারের হত্যাকাণ্ডটি নতুন কিছু নয়। এর আগেও চারজন ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। সেগুলোর জন্যও ইরান ইসরায়েলকেই দায়ী করেছে। এখন যে প্রশ্ন সবার মনে আসবে তা হলো, তেহরান কীভাবে এর পাল্টা জবাব দেবে? কখন দেবে? ইরানের সামরিক বাহিনী বলেছে, ‘বজ্রের মতো আঘাত হেনে’ প্রতিশোধ নেওয়া হবে।
ইরানের এই পরমাণু বিজ্ঞানীকে এমন সময় আততায়ীরা গুলি করে হত্যা করল, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিদায় নেওয়ার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি রয়েছে। এর কিছুদিন আগে খবর বেরিয়েছিল যে ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার কথা কর্মকর্তাদের বলেছিলেন।
তবে কর্মকর্তারা তাকে এই বলে নিরস্ত্র করেন যে, পারমাণবিক স্থাপনায় হামলায় বড় ধরনের ক্ষতি হবে এবং সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হবে। ওই ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই এই শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হলো।
উল্লেখ্য, এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাশেস সুলেইমানিকে হত্যা করা হয়। সেই সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, সুলেইমানির হাতে অনেক মার্কিনির রক্ত লেগে রয়েছে। এ কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। সেটি ছিল ইরাকের মাটিতে হামলা। এবার খোদ ইরানেই হামলা চালিয়ে বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হলো। (সূত্র: আল জাজিরা) #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.