শীতে ‘শীতল’ হচ্ছে হবিগঞ্জের সবজি বাজার!

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: বাজারে বিভিন্ন ধরণের সবজির সরবরাহ বেড়েছে। উঠতে শুরু করেছে শীতকালিন বিভিন্ন সবজিও। টমেটো, মূলা, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুনসহ বিভিন্ন সবজির দাম গত এক সপ্তাহে কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা। তবে এখনও ক্রেতাদের সহনশীল অবস্থায় পৌঁছায়নি কোন সবজির দামই। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর শীতেও সবজির দাম প্রায় দ্বিগুণ।

আজ রবিবার সকালে হবিগঞ্জ শহরের সবচেয়ে বড় খুচরা বাজার চৌধুরী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রচুর পরিমাণে শীতকালিন শাক-সবজি উঠেছে।

বাজারে শিম বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। প্রকার ভেদে গাজরের কেজি ৫ থেকে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। লাউ মাঝারি আকারের বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। যা গত সপ্তাহের চেয়ে কমেছে ১০ টাকা।

অন্যদিকে, পুঁইশাক ৪০ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, লাল শাক ২০ টাকা, কচুর লতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা আটিতে বিক্রি হচ্ছে। ধনিয়া পাতা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কড়লা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় এবং কাচা মরিচ ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে।

অপরিবর্তিত রয়েছে ঢেড়স, ঝিঙা, পটল, বরবটি। এগুলো বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে। অপরিবর্তীত থেকে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পেঁপে।

তবে সরকার দুই দফা দাম বেঁধে দিলেও কমেনি আলুর দাম। ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আলু। তবে বাজারে এখনও নতুন আলু উঠেনি।

ক্রেতারা বলছেন, শীতকালিন সবজি বাজারে আসতে শুরু করায় দাম কমতে শুরু করেছে। কিছুদিন পর এসব সবজির দাম আরও অনেক কমবে।

ক্রেতাদের দাবি, সবজির দাম কিছুটা কমলেও এখনও সাধারণ মানুষের সহনশীল পর্যায়ে আসেনি। তাদের দাবি, বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে সবজি মজুদ থাকার সত্তে¡ও ব্যবসায়িদের সিন্ডিকেটের কারণে দাম কমছে না।

এ ব্যাপারে চৌধুরী বাজারের সবজি ব্যবসায়ি মো. রমিজ আলী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ‘শীতকালিন বিভিন্ন ধরণের সবজি বাজারে উঠতে শুরু করেছে। যে কারণে সবজির দামও কমতে শুরু করেছে। আমরা আশা করছি আগামী সপ্তাহে সবজির দাম আরও কমবে।’

অন্য ব্যবসায়ি মো. আলী আকবর বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ‘এ বছর আগাম বৃষ্টিতে শীতকালিন সবজির ব্যাপক ক্ষতে হয়েছে। যে কারণে অন্য বছরের মতো সবজি বাজারে উঠছে না। তবে সময়ের ব্যবধানে সবজির দাম আরও অনেক কমবে।’

তিনি বলেন, সরকার পাইকারি বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। অথচ আমরা ছোট ছোট খুচরা ব্যবসায়িদের শুধু দুষারোপ করা হয়। আমরাতো আর সবজির দাম বাড়াই না।’

সবজি কিনতে আসা কাপড় ব্যবসায়ি শুহান চৌধুরী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ‘গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে বাজারে প্রচুর সবজির থাকার পরও ব্যবসায়িরা সিন্ডিকেট করে রাখায় দাম কমছে না।

রিক্সাচালক মো. সজিব মিয়া বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ‘সারাদিন রিকশা চালিয়ে চালিয়ে যা পাই তা দিয়ে কোন রকমে দিন চলে। কিন্তু বাজারে সবজির যে দাম এতে আমরা গরিব মানুষরা খুব বেকায়দায় আছি। কোন সবজিই ৪০ টাকার নিচে পাওয়া যায় না।’

তিনি বলেন, ‘অন্য বছর শীতে সবজি খুব স্বস্তা থাকে। কিন্তু এ বছর সবজি বাজারে যেন আগুন। বেশি দামের কারণে গত এক মাস বাজারেই আসিনি।’

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ জুনাইদ চৌধুরী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.